মেসির গোলে পিএসজির জয়, ফের ইনজুরিতে নেইমার

আরেকটি হারের লজ্জায় পড়েছিল পিএসজি। ৮৬ মিনিট পর্যন্ত ৩–২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল প্রতিপক্ষ লিল। আগের তিন ম্যাচ হেরে যাওয়া পিএসজির সামনে তখন টানা চতুর্থ হারের শঙ্কা।

কিন্তু পার্ক দ্য প্রিন্সেসের ম্যাচটিতে তখনো গল্প লেখা বাকি কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লিওনেল মেসির। ৮৭ মিনিটে সমতা এনে দিলেন এমবাপ্পে, ৯৫ মিনিটে দুর্দান্ত ফ্রি কিকে জয়ে এনে দিলেন মেসি। লিলকে ৪–৩ ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচ পর জয়ে ফিরল পিএসজি। 

তবে শেষের ঝলকে দুর্দান্ত জয়ের ম্যাচটিতে শঙ্কার ছায়াও আছে পিএসজির। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চোট পেয়ে স্ট্রেচারে মাঠ ছেড়ে যান নেইমার। ব্রাজিলিয়ান তারকার চোখেমুখের অভিব্যক্তিতে ছিল তীব্র চোটের বেদনা।

নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচটিতে শুরুতেই জোড়া গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। ১০ম মিনিটে নেইমারের সহায়তায় প্রথম গোলটি এনে দেন এমবাপ্পে। সাত মিনিট পর ব্যবধান ২-০ বানিয়ে দেন নেইমার। ওই সময় অনেকের মনে উঁকি দিচ্ছিল দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচ। ২২ আগস্ট লিলের মাঠে এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক আর মেসি, নেইমারদের গোলে ৭-১ গোলে জিতেছিল পিএসজি।

কিন্তু এবার আর ম্যাচটা এক পাক্ষিক থাকতে দেয়নি লিল। বরং টানা তিন গোল করে জয়ের সম্ভাবনাই জাগিয়ে তোলে পয়েন্ট তালিকার চারে থাকা দলটি। এর মধ্যে ২৪ মিনিটে লিলের হয়ে গোলের সূচনা করেন বাফোদে দাইকাতে। আন্দ্রে গোমেজের ক্রস থেকে পাওয়া বলে তাঁর নেওয়া হেড পিএসজি গোলরক্ষকের দেখা ছাড়া উপায় ছিল না।

প্রথমার্ধের বাকি সময়েও পিএসজি রক্ষণে বেশ কয়েকবার আতঙ্ক ছড়ায় দলটি। তবে সমতার গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৫৮ মিনিট পর্যন্ত। কর্নার থেকে আসা বল ক্লিয়ার করার সময় ভেরাত্তির হ্যান্ডবল হলে পেনাল্টি পায় লিল। যা কাজে লাগিয়ে স্কোরলাইন ২-২ করেন কানাডিয়ান ফরোয়ার্ড জনাথন ডেভিড।

এর কিছুক্ষণ আগে আক্রমণভাগ থেকে নেইমারকে হারিয়ে ফেলে পিএসজি। আন্দ্রে গোমেজের চ্যালেঞ্জে পায়ে আঘাত পেয়ে লুটিয়ে পড়েন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। অবস্থা গুরুতর বিবেচনায় স্ট্রেচারে করে মাঠ থেকে বের করে নেওয়া হয় তাঁকে। এ সময় ব্যথায় কাতরাতে দেখা যায় নেইমারকে।

লিল তৃতীয় গোলটি পায় ৬৯ মিনিটে। মাঝমাঠে ভেরাত্তিকে হারিয়ে আন্দ্রে গোমেজ লম্বা করে সামনে বল বাড়ান। ছুটে গিয়ে বল নাগালে নেন জনাথন বামবা। দন্নারুম্মাকে ফাঁকি দিয়ে জোরালো শটে বল জালে জড়ান এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।

৩-২ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণ গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন এমবাপ্পে-মেসিরা। তবে ফিনিশিং দুর্বলতায় কাজ হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৮৭ মিনিটে আচমকাই গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকেরা। ভেরাত্তির বল ধরে গোলমুখে বাড়ান হুয়ান বার্নাট। ছোট ডি বক্সে ঢুকে স্লাইড শটে বল জালে জড়ান এমবাপ্পে।

এর পর ৯৫তম মিনিটে আসে মেসির তিন পয়েন্ট এনে দেওয়া গোল। ডি বক্সের সামান্য বাইরে আন্দ্রে গোমেজের ফাউলের শিকার হয়ে ফ্রি কিক আদায় করেন মেসি। ডান দিকের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে পিএসজিকে জয়োৎসবে ভাসান আর্জেন্টাইন তারকা।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence