বিশ্বকাপ মঞ্চে আজ ইংল্যান্ড-সেনেগাল চ্যালেঞ্জ

 ইংল্যান্ড-সেনেগাল চ্যালেঞ্জ
ইংল্যান্ড-সেনেগাল চ্যালেঞ্জ  © সংগৃহীত

সেনেগাল ২০০২ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসে। প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত। সাদিও মানে ছিটকে যাওয়ায় বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বড় ধাক্কা খেয়েছিল সেনেগাল। হলুদ কার্ডের খাঁড়ায় পড়ে আজ নেই মাঝমাঠের ভরসা ইদ্রিসা গুয়েও। এমনিতেই কাগজে-কলমে অনেক এগিয়ে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও সেনেগাল এই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে।

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে খেলছে ১৯৫০ সাল থেকে। ১৯৬৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়। সেমিফাইনাল খেলে আরও দুবার। ১৯৯০ ও ২০১৮ সালে চতুর্থ হয়। সেনেগাল এ নিয়ে তিনবার বিশ্বকাপে খেলছে। ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন জিদানের ফ্রান্সকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেয়। ওই আসরেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে ক্যামেরুনের পর দ্বিতীয় আফ্রিকান দল হিসেবে। কাতার বিশ্বকাপে পুনরায় সুযোগ এসেছে সেনেগালের সেরা আটে খেলার। 

তবে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে সেনেগালকে টপকাতে হবে ইংল্যান্ডকে। ইংল্যান্ড ১৯৬৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট। ‘বি’ গ্রুপ পর্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হচ্ছে ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ সেনেগালের। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে হেরেছিল বেলজিয়ামের কাছে। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্সআপ হয়েছিল ইতালির কাছে হেরে।

গত বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে ছিলেন হ্যারি কেইন। ৬ গোল করে জিতেছিলেন গোল্ডেন বুট। এবার গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচে গোল পাননি একটিও। ইংলিশ কোচ সাউথগেট এ নিয়ে চিন্তিত। তবে মার্কাস রাশফোর্ড, রাহিম স্ট্যার্লিং, জুড বেলিংহাম, বুকায়া সাকা কোচের চিন্তাকে দূর করছেন। 

সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এবারের বিশ্বকাপ শুরু করে প্রথম ম্যাচে ইরানকে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত করে। দ্বিতীয় ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে প্রতিবেশী ওয়েলসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়। সেনেগাল প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে হেরে যায় নেদারল্যান্ডসের কাছে। পরের দুই ম্যাচে হারায় স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডরকে। কাতারকে হারায় ৩-১ গোলে এবং ইকুয়েডরের বিপক্ষে জয় পায় ২-১ গোলে।

আরও পড়ুন: সেমিফাইনালে যেভাবে মুখোমুখি হতে পারে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা

ইংল্যান্ডে চোট কিংবা কার্ড-সংক্রান্ত কোনো ঝামেলাও নেই। একমাত্র বেন হোয়াইট ব্যক্তিগত কারণে স্কোয়াড ছেড়ে দেশে ফিরে গেছেন। আজ পূর্ণ শক্তি নিয়েই নামবে সাউথগেটের দল। তাই অপরাজিত হিসেবে গ্রুপ পর্ব উতরানো ইংল্যান্ডই আজ ফেভারিট। 

দুই মূল তারকা না থাকার পরও সেনেগাল কিন্তু দাপটের সঙ্গেই গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে এসেছে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ভালো খেলে হেরে গেলেও পরের দুই ম্যাচে কাতার ও ইকুয়েডরকে পরাজিত করেই তারা শেষ ষোলোর টিকিট পেয়েছে। তাই সেনেগালকে সহজ প্রতিপক্ষ মনে করলে ভীষণ ভুল করবে ইংল্যান্ড। আর অধিনায়ক কৌলিবালি, ইসমাইল সার, বেনঞ্জামিন মেন্দিসহ সেনেগালের ক'জন প্রিমিয়ার লিগে খেলেন। ইংলিশ ফুটবলারদের শক্তি-দুর্বলতা ভালো মতোই জানেন তাঁরা। 

তাই প্রথমবারের মতো দু'দল আন্তর্জাতিক ম্যাচে মুখোমুখি হলেও সেনেগাল এখানে এগিয়ে থাকবে। আরেকটি পরিসংখ্যানে অবশ্য ইংল্যান্ডের একচ্ছত্র আধিপত্য। বিশ্বকাপের মঞ্চে এই নিয়ে ১৩তম বার প্রথম কোনো দেশের মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড, আগের ১২ বারের মধ্যে তারা কেবল একবার হেরেছে। সেটাও ৭২ বছর আগে ১৯৫০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। বিশ্বকাপে আফ্রিকান কোনো দেশের বিপক্ষে এখনও হারেনি ইংল্যান্ড। চারটি জিতেছে, তিনটি ড্র হয়েছে। 


সর্বশেষ সংবাদ