সাদিও মানেকে ছাড়াই ২০ বছর পর নকআউট পর্বে সেনেগাল

সেনেগালের উল্লাস
সেনেগালের উল্লাস  © রয়টার্স

২০০২ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে এসে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল সেনেগাল। ২০ বছর পর আবারও চমক দেখালো আফ্রিকার দেশটি। দলের তারকা ফুটবলার সাদিও মানেকে ছাড়াই নিজেদের টিকে থাকার লাড়াইয়ে ইকুয়েডরকে ২–১ গোলে হারিয়ে ২০ বছর পর আবারও শেষ ষোল তে জায়গা করে নিল তারা।   

আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বাঁচা-মরার লড়াইয়ে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হয় সেনেগাল। 

আক্রমণ–পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। ৮ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ নষ্ট করেন সেনেগালের বুলায়ে দিয়া। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল বাইরে মারেন এই স্ট্রাইকার।

এর একটু পরেই ডি–বক্সের কাছাকাছি জায়গা থেকে ফ্রি–কিক পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় ইকুয়েডর। দুই দল আক্রমণে চোখ রেখে খেললেও সেনেগাল আগাচ্ছিলো বেশ গোছানো ও পরিকল্পিতভাবে। গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল বেশ। প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে ইকুয়েডরের গোল লক্ষ্য করে তিনটি শট নেয় তারা।

আরও পড়ুন: জাবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা।

প্রতিপক্ষকে চাপে রেখে ৪২ মিনিটে ঠিকই পেনাল্টি আদায় করে নেয় সেনেগাল। পেনাল্টি থেকে ঠাণ্ডা মাথার গোলে তেরেঙ্গা সিংহদের এগিয়ে দেন ইসমালিয়া সার। 

বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে মাঠে নামে ইকুয়েডর। দ্রুত একাধিক আক্রমণে গিয়ে সেনেগালকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে ইকুয়েডর। এগিয়ে থাকা সেনেগালও অবশ্য আক্রমণের ধারা থেকে পিছিয়ে আসেনি। তারাও চেষ্টা করছিল আরেকটি গোল আদায় করে জয়টা নিশ্চিত করার। 

হঠাৎ করেই জমে ওঠে নাটকীয়তা। মোইসেস কাইসেদোর গোলে ৬৭ মিনিটে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর। তবে এই সমতা ৩ মিনিটের বেশি ধরে রাখতে পারেনি তারা। কালিদু কুলিবালির দারুণ এক ভলিতে ফের লিড নেয় সেনেগাল। এরপর চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ইকুয়েডর। ফলে নকআউট পর্বে নিজেদের জায়গা নিশ্চত করে সেনেগাল।

অপরদিকে স্বাগতিক কাতারকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ পর্বের চ্যাম্পিয়ান হয়েছে নেদারল্যান্ডস।


সর্বশেষ সংবাদ