ফেল করা ঢাকা বোর্ডের ৪ শিক্ষার্থী পেল জিপিএ-৫, যশোরে ১১

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে  © সংগৃহীত

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবারে তিন বিষয়ের পরীক্ষা হলেও ফলাফলে অসন্তোষ জানিয়ে ফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য প্রায় ৭৬ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এর মধ্যে হিসাববিজ্ঞান, রসায়ন ও ভূগোল বিষয়ে বেশি আবেদন পড়েছে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) খাতা পুনঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।

ঢাকা বোর্ডের প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী ২২ হাজার ৮৫৫টি বিষয়ের খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেছিলেন। বোর্ডটির খাতা পুনঃনিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস করেছেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী। আর নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬জন পরীক্ষার্থী। আর আগে ফেল করলেও খাতা চ্যালেঞ্জ করে জিপিএ-৫ পেয়েছেন চারজন পরীক্ষার্থী।

আরও পড়ুন: ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে হল খোলা থাকবে, অনলাইনে চলবে ক্লাস-পরীক্ষা

চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭ হাজার ৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১২ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে একজন অকৃতকার্য শিক্ষার্থী পেয়েছেন জিপিএ-৫। এছাড়া ৯ জন শিক্ষার্থীর অর্জিত পয়েন্ট পরিবর্তন হয়েছে।

এবারের বোর্ডটিতে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণে অকৃতকার্য থেকে পাস করেছে ৩৩ জন। আবার অকৃতকার্য ঘোষিত এক শিক্ষার্থী পেয়েছে জিপিএ-৫। এছাড়া জিপিএ-৫ পেয়েছে আগের ফলাফলে কম পয়েন্ট পাওয়া ৯ শিক্ষার্থী।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এস এসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণে ৬০ জনের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। এতে ফেল থেকে বিভিন্ন গ্রেডে পাস করেছে ৩৫ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩ জন। এর মধ্যে ১১ জন পরীক্ষার্থী আগে ফেল করলেও পুনঃনিরীক্ষণে তারা জিপিএ-৫ পেয়েছে। বাকিদের পরিবর্তন হয়েছে বিভিন্ন গ্রেড।

আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের খবরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

এর আগে, গত ৩০ ডিসেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এরপর গত ৩১ ডিসেম্বর এসএসসি ও সমমানের পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু হয়, যা শেষ হয় গত ৬ জানুয়ারি।

এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলে পাসের হার ৯৩.৫৮ শতাংশ, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। গত বছরের চেয়ে এবার সার্বিক পাসের হার বেড়েছে ১০.৭১ শতাংশ। ২০২০ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮২.৮৭ শতাংশ।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ গণমাধ্যমকে বলেন, গতবারের তুলনায় এবার পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন কম হওয়ায় ফলাফল পরিবর্তনে ব্যবধান দেখা গেছে। উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ৭ হাজার ৬৯ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৭ হাজার ৮২৩টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ