সরকারি স্কুলে ২ হাজার সহকারী শিক্ষককের পদ শূণ্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২১, ০৮:৫২ AM , আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২১, ০৮:৫২ AM
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী প্রধান শিক্ষকের ৪৭৭টি পদ থাকলেও এ পদে কেউ নেই ১৫২ স্কুলে। এ ছাড়া ১০ হাজার ৯০৪টি পদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য দুই হাজার ১৮২টি। করোনার এক বছরে আরও কিছু শিক্ষক অবসরে চলে গেছেন অথবা মৃত্যুবরণ করেছেন। এতেও শূন্য হয়েছে কিছু পদ।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এছাড়া সারাদেশে নতুন জাতীয়করণসহ মোট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৮৩টি। সব স্কুলে এখনও সরকারি পদ সৃষ্টি হয়নি। যেগুলোতে রয়েছে সেগুলোতে বিপুলসংখ্যক পদও শূন্য রয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে ৩৫১টি প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে। তার মধ্যে ২৩৩টি শূন্য। বাধ্য হয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক অথবা যেখানে সহকারী প্রধান শিক্ষক নেই সেখানে জ্যেষ্ঠ কোনো সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের ভারপ্রাপ্ত পদ দেওয়া হয়েছে। কেবল প্রধান শিক্ষক নয়, সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিপুলসংখ্যক পদও ফাঁকা।
মাউশির তথ্যমতে, বাংলায় ৫০৫, ইংরেজিতে ১৭৫, গণিতে ২০৫, সামাজিক বিজ্ঞানে ৮৩, ভৌতবিজ্ঞানে ১৮০, জীববিজ্ঞানে ২২৭, ব্যবসায় শিক্ষায় ৭৪, ভূগোলে ১১১, চারুকলায় ১৫৭, শারীরিক শিক্ষায় ১০৮, ইসলাম ধর্মে ২৪৩ ও কৃষিশিক্ষায় ৭৭টি শিক্ষকে পদ শূন্য রয়েছে।
মাউশির উপপরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি বছর শিক্ষকরা অবসরে যাচ্ছেন। কিন্তু এসব শূন্য পদ পূরণ করতে কিছুটা সময় লাগছে। কারণ এই পদগুলো প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদাভুক্ত করায় পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ হয়। তবে শিগগির আমরা অন্তত দুই হাজার ১৫৬ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারব।
মাউশি পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, শিক্ষকের এ সংকট দীর্ঘদিনের। এক দিনেই সমাধান করা সম্ভব নয়। শিক্ষক নিয়োগও একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিষয়। আর কর্মরত যেসব শিক্ষক রয়েছেন, তাদের সুষমভাবে পদায়ন করা গেলেও কিছুটা সমাধান হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ২০২০ সাল পর্যন্ত শূন্য আসনে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তার সঙ্গে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কী পরিমাণে শিক্ষক পদ শূন্য হতে পারে, সে তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চাওয়া হয়েছে। পরে বিসিএস পরীক্ষার নন-ক্যাডার থেকে সেসব পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।