স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে স্কুল ছেড়ে পালালেন প্রধান শিক্ষক
- ভোলা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ PM , আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ PM
দুর্নীতি, অনিয়ম ও শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে স্কুল ছেড়ে পালালেন গোলদার হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাকসুদুর রহমান। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোলার চরফ্যাশনের এমন ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গোলদার হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাকসুদুর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার বলয়ে থেকে স্কুল ফান্ডের লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছেন। শিক্ষকদের জিম্মি করে হেনস্তা ও হয়রানি করেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হুমকি দেন। এছাড়াও তার এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। পদত্যাগ চেয়ে প্রতিবাদ জানালে ধাওয়া খেয়ে বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে যান প্রধান শিক্ষকের।
বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক জামাল উদ্দিন বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষক স্কুলের লাইব্রেরিতে আমাকে হুমকি দেন। যেন আমি স্কুলে না যায়। শুধু আমি নয়, তার ভয়ে কোন শিক্ষকই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন না।
বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মো. রুহুল আমিন গোলদার জানান, প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের কারণে ভেস্তে যাচ্ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা ব্যবস্থা। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে বিদ্যালয়ে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছেন। ২০২০ সালে কাউকে না জানিয়ে স্কুল থেকে ৭০ হাজার টাকার মূল্যের ১০টি গাছ কেটে বিক্রি করে দেন।
তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালে বিদ্যালয়ের পুরাতন টিনের সেট ঘর ৪৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেন প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে পাওয়া ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। টেন্ডার ছাড়াই স্কুলের পুরাতন বিল্ডিং বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাকসুদুর রহমানের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. খলিলুর রহমান বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে স্কুলটি পরিদর্শন করেছি। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসনা শারমিন মিথি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।