সীমান্তের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ‘প্রয়োজনে বিশেষ ব্যবস্থা’

মিয়ানমারে যুদ্ধ

  © টিডিসি ফটো

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ‘ভীতিকর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়া বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে ওই এলাকার শিক্ষার্থীর বিষয়ে ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।

মিয়ানমারের রাখাইনে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। এই যুদ্ধের মধ্যে গুলি ও মর্টার শেল সীমান্ত পেরিয়ে এপাড়েও এসে পড়ছে। তাতে বাংলাদেশে অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন কয়েকজন।

সীমান্ত এলাকায় আতঙ্কে অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে গেছেন। শিক্ষার্থীশূন্য হওয়ায় বেশ কয়েকটি স্কুলে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।

নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রটি এবার বাতিল করা হয়েছে।

ওই কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রিফিংয়ে আসেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরে সীমান্তের পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চান একজন সাংবাদিক।

এ বিষয়ে 'সার্বক্ষণিক যোগাযোগ' রাখা হচ্ছে জানিয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, যদি শিক্ষার্থীরা ওই পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকে বা সে ধরনের কোনো পরিস্থিতি সেখানে সৃষ্টি হয়, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।

তিনি মনে করেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ‘খুব বেশি নয়’, তাদের বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।

সারাদেশের ৩ হাজার ৭ শ কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় একযোগে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। ১১ শিক্ষাবোর্ডের ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এবার পরীক্ষা দিচ্ছে।  

প্রথম দিন এসএসসিতে বাংলা প্রথমপত্র, দাখিলে কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিলে (ভোকেশনাল) বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা হয়। 


সর্বশেষ সংবাদ