কম বয়সীদের গণিত ও পড়ার দক্ষতা আশঙ্কাজনক হারে কমেছে

  © সংগৃহীত

১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের পড়া, গণিত ও বিজ্ঞান-বিষয়ক তাদের নিয়মিত ত্রিবার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার পর দেখা গেছে, ২০০০ সালের পর এই প্রথম ওই বিষয়গুলোর দক্ষতা আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে। সম্প্রতি অরগানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।

এই গবেষণাটির জন্য প্রায় সাত লাখ টিনএজার গত বছর ওইসিডির দুই ঘণ্টার একটি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওইসিডির অন্তর্ভুক্ত ৩৮টি উন্নত দেশ ও সংস্থাটির সদস্য নয়, এমন ৪৪টি দেশের টিনএজাররা এতে অংশ নেয়।

ওইসিডি’র গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের অনেক দেশে টিনএজারদের গণিত ও পড়ার দক্ষতা আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে। কভিড-১৯ মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া এর জন্য আংশিক দায়ী। খবর: রয়টার্স।

এর আগে ২০১৮ সালে হওয়া একই ধরনের একটি পরীক্ষার ফলের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোর টিনএজারদের পড়া ও গণিতে গড় দক্ষতা কমেছে যথাক্রমে ১০ ও ১৫ পয়েন্ট। গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতি চারজনের মধ্যে একজন ১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থী গণিত, পড়া ও বিজ্ঞানে খারাপ করছেন। 

আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমের যে দিকগুলো নিয়ে আমার অভিযোগ

অপর একটি গবেষণায় দেখা গেছে একটি শিশুর পড়তে শেখার জন্য যেসব জিন দায়ী সেগুলোর অর্ধেকই আবার তার গণিত শেখার সামর্থ্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল), অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও কিংস কলেজ লন্ডনের একদল গবেষক শিশুদের জিনগত ভিত্তি ও বোধশক্তির ওপর গবেষণার ভিত্তিতে জানিয়েছেন পঠন ও গণিতের দক্ষতার ওপর মানুষের জটিল জিনব্যবস্থার প্রভাবের কারণ অজানা। এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি নেচার কমিউনিকেশনস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের দুই হাজার ৮০০ পরিবারের শিশুদের পড়াশোনা ও গাণিতিক দক্ষতার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে ওই গবেষণা সম্পন্ন করা হয়। গবেষকেরা যাচাই করে দেখেন অনুচ্ছেদ পঠন ও অনুধাবন এবং অনর্গল কথা বলায় শিশুদের দক্ষতা কতটুকু। এরপর ওই শিশুদের ডিএনএর তথ্যও বিশ্লেষণ করে দেখা হয়, জিনগত বৈচিত্র্য বা পার্থক্যের ফলে সংশ্লিষ্ট শিশুর দক্ষতা অর্জনে কী পরিমাণ প্রভাব পড়ে।


সর্বশেষ সংবাদ