অবসরের পরও অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক থাকতে চান তাঁরা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়
শিক্ষা মন্ত্রণালয়  © ফাইল ছবি

রাজধানীর মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুর্শেদা শাহীন ইসলাম প্রায় দুই বছর আগে অবসরে যান। কিন্তু এখনো প্রতিষ্ঠানটিতে তিনি চুক্তিভিত্তিক অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। গত বছরের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন অধ্যক্ষ মো. বেলায়েত হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে এই দায়িত্ব দেন পরিচালনা পর্ষদ। এর আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

নিয়মানুযায়ী, অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসরে যাওয়ার পর তার ওই পদে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ নেই। অধ্যক্ষের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে উপাধ্যক্ষ বা জ্যেষ্ঠতম ৫ জন শিক্ষকের মধ্য থেকে একজনকে দায়িত্ব দিতে হবে। তবে অবসরের পরও শুধু ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনের নিরিখে সর্বোচ্চ এক বছর সাধারণ শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তাদের বেতন-ভাতা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল থেকে বহন করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না তারা।

আরও পড়ুন: ভিকারুননিসায় শিক্ষক-কর্মচারী সন্তানদের অবৈধ ভর্তি নিয়ে তোলপাড়

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষক সর্বোচ্চ ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারেন। কিন্তু নিয়ম ভেঙে বর্তমানে দেশের অনেক স্কুল-কলেজে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করছেন। যাদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের সংখ্যাই বেশি। শুধু গভর্নিং বডি বা বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি নিয়ে তারা চুক্তিভিত্তিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। 

সম্প্রতি ম্যানেজিং কমিটির সুপারিশ থাকা স্বত্বেও এরকম ২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সমসংখ্যক শিক্ষকের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ২৩ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের আবেদন বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-১ শাখার সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আবেদনগুলো ম্যানেজিং কমিটির সুপারিশের কারণ যথার্থ ও যৌক্তিক প্রতীয়মান না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষের অবসর গ্রহণের পরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে অসম্মতি জানানো হলো।

আরও পড়ুন: গাইড বই ছাড়া পড়তে পারে না বিদ্যালয়ের ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ মুর্শেদা শাহীন ইসলাম বলেন, চুক্তিভিত্তিক অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছিল। তবে সম্প্রতি এই আবেদনে অসম্মতি জানিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. ম. তামিম। বর্তমানে তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন। তাই এই মুহুর্তে বিষয়টি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না বলে অধ্যক্ষ মুর্শেদা শাহীন ইসলাম জানিয়েছেন।

জানা যায়, আবেদনকারী শিক্ষকদের কেউ কেউ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে প্রধানের দায়িত্ব পালন করে অবসরে গিয়েছেন। আবার অনেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি ও বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডে কর্মরত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই যাদের আয় অনেক বেশি, তাদের ক্ষেত্রেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ঘটনা ঘটে থাকে। এর পেছনে থাকে গভর্নিং বডি বা বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের কারসাজি। কারণ ওই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনসহ নানা বিষয়ে গভর্নিং বডির সঙ্গে অধ্যক্ষের যোগসাজশ থাকে। আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি সাধারণত গভর্নিং বডির সব কথাই মেনে চলেন। এতে অনিয়ম-দুর্নীতির বেশি সুযোগ সৃষ্টি হয়।

গত বছরের অক্টোবরে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষকদের কোনো বিধি-বিধান না মেনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ অবস্থায় চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ সংক্রান্ত বিধির একটি চিঠি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠিয়েছিল মাউশি।

আরও পড়ুন: আইইএলটিএস ছাড়াই মধ্যপ্রাচ্যের ১১ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বিধি-বিধান মেনে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগে বয়স ৬৫ বছরের যাতে বেশি না হয় তা স্মরণ করে দেওয়া হয়েছিল।

মাউশি সংশ্লিষ্ট সূত্র তখন জানিয়েছিল, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ব্যবস্থাপনা কমিটি বিধিবিধান না মেনে অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছেন এবং এতে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। জটিলতা এড়াতে এমপিও নীতিমালার আলোকে চুক্তিতে নিয়োগের বিধান মেনে চলার জন্য চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছিল, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর ১১.১১ ধারায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রথম প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর। তবে সমপদে বা উচ্চতর পদে (উচ্চতর পদ বলতে শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান বুঝাবে) নিয়োগের ক্ষেত্রে ইনডেক্সধারীদের জন্য বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ ৬০ বছর পর্যন্ত প্রদেয় হবে।

তবে ঐতিহ্যবাহী ও মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এবং সরকারের কোনো আর্থিক সুবিধা/এমপিও না নেওয়ার শর্তে সরকারের অনুমোদনক্রমে শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধানের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকসহ সব দায়ভার বহন করতে হবে এবং সরকার এর কোনো দায় বহন করবে না। এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের চুক্তিভিত্তিক প্রধানের মেয়াদ সরকারের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও কোনো ক্রমেই ৬৫ বছরের বেশি হতে পারবে না মর্মে বিধান রয়েছে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছিল ‘ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর ১১.১১ ধারায় অনুসৃত বিষয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকদের কোনো বিধি-বিধান না মেনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এবং তা অনুমোদনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বরাবর পাঠানো হচ্ছে। ’

আরও পড়ুন: রাজউক কলেজ ছাত্রী-শিক্ষকের ‘ব্যক্তিগত আলাপ’ ভাইরাল

এক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে উক্ত শিক্ষক বিধি অনুযায়ী ৬০ বছর পূর্তিতে অবসরে গেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের ৬ জুন এবং ২০১২ সালের ৯ জুলাইয়ের স্মারক অনুযায়ী অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে সহকারী প্রধান শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার অর্পণ করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানে সহকারী প্রধান শিক্ষক না থাকলে জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার অর্পণ করতে হবে। তবে পরবর্তীতে অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টি সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন সাপেক্ষে তিনি উক্ত পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে পারবেন।

এই চিঠি সব বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ/বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ/বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষককে পাঠানো হয়েছিল তখন।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-১ শাখার উপসচির মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে নীতিমালা রয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী এসব আবেদন পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সভা বসে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, এরকম নিয়োগের ব্যাপারে প্রায়ই আবেদন আসে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো অনুমতি দিই না আমরা। তবে সেই আবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখান থেকেও সাধারণত কোনো ফিডব্যাক আসে না। এরপরও যদি কেউ পদ না ছাড়ে তাহলে সেই পদ বৈধ হবে না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় নারায়ণগঞ্জ সদরের পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ব্রোজেন্দ্র নাথ সরকার, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিলাসবাড়ী উচ্চ বিদ্যালযয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু হেনা মো. শাহিন মাহমুদ, টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার মাওলানা ভাসানী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আ. বাছেদ সিদ্দিকী নীলফামারী সদর উপজেলার নীলফামারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মাহফুজুল হকসহ মোট ২৩ জনের আবেদন নামঞ্জুর করে।

এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি, কিশোরগঞ্জের কিশোরগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অবসর প্রাপ্ত প্রধান সহকারী শিক্ষক মো. দুলাল মিয়া, ময়মনসিংহের ভালুৃকা উপজেলার অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব খান, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল ওয়াহেদ আকন্দ এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালতলা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলামের আবেদনও নামঞ্জুর করে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের তালিকায় আরও রয়েছেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মুকসুদপুর পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিকদার মিজানুর রহমান, ঢাকার সাভারের আশুলিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসর অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত), মো. শোয়েব খান, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের অব. প্রধান শিক্ষক এস. এম আমিরুজ্জামান, একই উপজেলার ধানশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের অব. প্রধান শিক্ষক মো. সাহাজ উদ্দিন এবং নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার সুসঙ্গ আদর্শ বিদ্যানিকেতনের অব. প্রধান শিক্ষক এ. কে এম ইয়াহিয়া।

এছাড়াও নাম রয়েছে ঢাকার কেরানীগঞ্জের আয়মনা খাতুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অব. প্রধান শিক্ষক বিজন কৃষ্ণ বেপারী, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের অব. প্রধান শিক্ষক মো. অমিনুল হক, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মোড়লহাট জনতা স্কুল এন্ড কলেজের অব. প্রধান শিক্ষক মো. সোলায়মান আলী, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পাগলা বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অব. প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানও রয়েছেন এ তালিকায়।

ময়মনসিংহ সদরের পাটগুদাম উচ্চ বিদ্যালয়ের অব. প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুল আলম তরফদার, মানিকগঞ্জের নবগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের অব. প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মী চ্যাটার্জ্জি সরকার, রাজধানীর মতিঝিলের কমলাপুর শেরে বাংলা রেলওয়ে স্কুল এন্ড কলেজের অব. প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল আলিম, রাজধানীর মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ, মিসেস মুর্শেদা শাহীন ইসলাম এবং টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ঘাটাইল সালেহা ইউসুফজাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অব. প্রধান শিক্ষক, বুলবুলি বেগমের আবেদনও নামঞ্জুর হয়েছে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে।


সর্বশেষ সংবাদ