ঘুমধুম সীমান্তে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পাশে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:০৭ PM , আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৪৯ PM
ঘুমধুম সীমান্তে চলমান পরিস্থিতি অবনতির কারণে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অন্তর্গত নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমউচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের এসএসএসি পরীক্ষার্থীদের স্থানান্তরিত করা হয় উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। প্রশাসন পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় যেন নির্বিঘ্নে অংশগ্রহণ করতে পারেন সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ খাবার পানি, পরীক্ষার রুটিন ও যাতায়াতের জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে আন্তর্জাতিক সীমারেখা না মেনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ে মায়ানমার থেকে মর্টারশেল, একে-৪৭ এর গুলি, ফাইটার হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। এই পরিস্থিতিতে মনে আতঙ্ক দেখা দেয় নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বসবাসরত মানুষের। ফলে স্থানীয়রাসহ সদ্য এসএসসি পরীক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে তাদের কেন্দ্র পরিবর্তিন করা হয়। আর পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বাস সার্ভিস চালু করেছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি রয়েছে নাগরিকত্বের সুযোগ
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের নেতারা জানিয়েছেন, ওই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা সকাল ৯টায় ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সেই বাসে করেই কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা ২য় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিতে আসেন। পরিক্ষা শেষে নিরাপদভাবে তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন বলেন, সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার, সংকট ও সংশয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে আসছে ছাত্রলীগ। তারই ধারাবাহিকতায় প্রশাসনের পাশাপাশি ছাত্রলীগ মাঠে থাকবে আমাদের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। তিনি আরও বলেন, উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সীমান্ত পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া অবধি পরীক্ষার্থীদের খাবার পানি, যাতায়াত সুবিধা সহ সার্বিক নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে।’
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ’ছাত্রলীগ নানাভাবে অতীতেও শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা সংকটে সেবা দিয়ে আসছে। তারই প্রেক্ষিতে সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে বাসের ব্যবস্থা করা হয় যাতে নির্বিঘ্নে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে শিক্ষার্থীরা।’