স্কলারশিপে সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় উচ্চশিক্ষার নানা সুযোগ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২০, ১২:১৭ PM , আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২০, ১২:৫২ PM
আরবি ও ইসলামি শিক্ষা অর্জনের জন্য সৌদি আরব এখনো সারাবিশ্বে শীর্ষ স্থানীয়। এছাড়া বিজ্ঞান ও সাধারণ শিক্ষায়ও সৌদি আরব পিছিয়ে নেই। সৌদি আরবেই রয়েছে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ও পর্দার ব্যবস্থা, উন্নত ও আধুনিক সব সুবিধাসম্পন্ন একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও সৌদি আরবের প্রায় সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়েরই রয়েছে মহিলাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন সম্পূর্ণ পৃথক ক্যাম্পাস।
১৯৭৫ সালে সৌদি আরবে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। যার অধীনে প্রায় ২৫টি সরকারি উঁচুমানের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সৌদি সরকার সর্ব স্তরের বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সহজে উঁচুমানের ও আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের সুবিধার্থে বৃত্তি প্রদান করে আসছে।
রাজধানী রিয়াদের কিং সাউদ বিশ্ববিদ্যালয়, দাম্মামের কিং ফাহাদ পেট্রল মিনারেল বিশ্ববিদ্যালয়, জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র্যাংকিংয়ের শীর্ষ সারির মধ্যে রয়েছে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে, ইসলামের সুমহান বিশ্ব শান্তির বাণীকে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে- বিদেশি শিক্ষার্থীদের আরবি ভাষা ও সংস্কৃতির সংস্পর্শে নিয়ে আসা, যারা প্রশাসনিক ও বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জনে সহায়তা করবে।
সৌদি আরবের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে (মদিনার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত) আরব দেশগুলো ব্যতীত অন্য দেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমেই সরাসরি অনার্স কোর্সে অধ্যয়নের সুযোগ নেই, এক্ষেত্রে তাদেরকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে হয়। অতঃপর, ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউটের সন্তোষজনক ফল অর্জিত হলে, অনার্স কোর্সে অধ্যয়নের সুযোগ হয়।
সাধারণত ভর্তির শর্তগুলোয় ভর্তির জন্য বিশেষ কোনো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয় না। তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ (আরবি ও ইসলামিক বিষয় ব্যতীত) কোনো বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করতে চাইলে আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষার নির্দিষ্ট স্কোরের প্রয়োজন হয়। আরবি ও ইসলামিক বিষয়ের ক্ষেত্রে কিয়াস (আরবি ভাষা সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের) পরীক্ষার স্কোরের প্রয়োজন হয় এবং অনেক সময়ই ভর্তির শর্তগুলোর মধ্যেও পূর্ববর্তী পরীক্ষার অতি উঁচুমানের ফলাফল চাওয়া হয় না এবং অন্যান্য বিষয়ে বিশেষ কোনো দক্ষতাও চাওয়া হয় না।
তবে সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তির সুযোগ পাওয়া অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক! এখানে পূর্ববর্তী পরীক্ষাগুলোর অতি উঁচুমানের ফলাফল না চাইলেও, ভর্তির সুযোগ পেতে হলে পূর্ববর্তী পরীক্ষাগুলোর ফল অনেক ভালো হতে হয়।
সৌদি আরবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এখন পর্যন্ত মেডিকেলে পড়ার সুযোগ নেই। এখানে বৃত্তিতে পড়াকালীন সময়ে বাহিরে কোনো প্রকার পার্ট টাইম/ ফুলটাইম কাজ করা নিষিদ্ধ। এতে ধরা খেলে জেল জরিমানা হতে পারে এবং পড়াশোনা বন্ধসহ দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে।
দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সাধারণ শর্ত ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সমূহের মধ্যে-
* আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট বা অনার্স পর্যায়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বয়স ১৭ থেকে ২৩ (কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ বছর) বয়সের মধ্যে হতে হবে। মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ বছর, এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে।
* আবেদনকারী যদি সৌদি আরবের অন্য কোন প্রতিষ্ঠান হতে বৃত্তি প্রাপ্ত হয়, তাহলে তার আবেদন গ্রহণ করা হবে না। ছাত্রীদের বৃত্তিতে আবেদনের জন্য শর্ত হলো, তাদের কোন মাহরাম সৌদি আরবের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে, অথবা ছাত্রীর সঙ্গে বৃত্তির জন্য আবেদনকারী হতে হবে, বা সৌদিতে বৈধ ইকামাধারী অবস্থানকারী হতে হবে ।
* শিক্ষার্থী যদি কোনো কারণে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হতে বরখাস্ত হয়ে থাকে, তাহলে তার আবেদন গ্রহণ করা হবে না। সৌদি আরবের স্থানীয় আইন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ওপর প্রযোজ্য হবে, সুতরাং শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তা মানতে হবে। সৌদি আরবের আইনের বাইরে কোন প্রকার রাজনীতি, সন্ত্রাসবাদ, ও চরমপন্থা অবলম্বন করা যাবে না এবং এসবের আলোচনাও করা যাবে না ।
* বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে থাকবেন। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তাদের বৃত্তিকালীন নির্দিষ্ট কোর্সসম্পন্ন হলে দেশে ফেরত যেতে হবে।
* যারা জন্মগতভাবে মুসলিম না, তাদের ইসলাম গ্রহণের সনদপত্র, (যদি প্রযোজ্য হয় )
* যারা ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউট, ডিপ্লোমা বা অনার্স কোর্সের জন্য আবেদন করতে চান, তাদের উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর পাঁচ বছরের মধ্যেই আবেদন করতে হবে।
* পাসপোর্ট থাকতে হবে। পেছনে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের টুপি ও চশমা ছাড়া ছবি। ছাত্রীদের আবেদনের ক্ষেত্রে মাহরাম অভিভাবকের ইকামার কপি।
* সিভিল সার্জন অফিস হতে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত মেডিকেল ফিটনেসের সনদপত্র নিতে হবে। (প্রাপ্ত মেডিকেল ফিটনেস সনদপত্রের আরবি অনুবাদ ও নোটারি করা )
* পূর্ববর্তী পরীক্ষার সব সনদ ও নম্বরপত্রগুলোকে অনুমোদিত অনুবাদ কেন্দ্র হতে আরবি অনুবাদ এবং নোটারি করাতে হবে, তারপর এগুলোকে সংশ্লিষ্ট বোর্ড, শিক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কতৃক সত্যায়ন এবং সর্বশেষ সৌদি অ্যাম্বাসি কর্তৃক সত্যায়ন করতে হবে।
* জন্ম নিবন্ধনপত্রের আরবি অনুবাদ ও নোটারি করাতে হবে।
* হাফেজ হলে হিফজ সার্টিফিকেট ও আরবি অনুবাদ ও নোটারি করতে হবে ।
* নাগরিকত্ব সনদপত্রের আরবি অনুবাদ ও নোটারি।
* নিরাপত্তা সংক্রান্ত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিয়ে রাখা (সৌদির অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময় এ পত্রটি চায়। এছাড়াও সৌদিতে আসার ভিসা পেতে হলে অবশ্যই এ পত্রটি অ্যাম্বাসিতে জমা দিতে হবে)।
* সর্বশেষ উপরে উল্লিখিত সব কাগজপত্র প্রত্যেকটি জিপিজি ফরমেটে অত্যন্ত ভালোভাবে স্ক্যান করে রাখতে হবে, যাতে করে জুম করলেও ভালোভাবে পড়া যায়।
সুযোগ-সুবিধাগুলো
* বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বেতন ও পরীক্ষার ফি মওকুফ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোন কোন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সংশ্লিষ্ট বইগুলো বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।
* যারা কোন প্রকার অকৃতকার্য হওয়া ছাড়াই পরীক্ষায় ‘মুমতাজ’ ফলাফল অর্জন করবে তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট হারে অতিরিক্ত স্টাইপেন্ড প্রদান করা হয়ে থাকে এবং তাদের জন্য থাকে পছন্দমতো বিশ্ববিদ্যালয়ের উঁচুমানের বিষয়গুলো বাছাই করে নেওয়ার অধিকার।
* বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নির্ধারিত রেস্টুরেন্টগুলোতে শিক্ষার্থীদের খাবারের বিলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট হারে ভর্তুকি দিয়ে থাকে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফ্রি আবাসনের ব্যবস্থা করে থাকে। উম্মুল কোরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবাহিতদের পরিবারসহ থাকার সুবিধার্থে ফ্রি আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।
* বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি মাসে নির্দিষ্ট হারে (অনার্স, মাস্টার্স, পিএইচ ডি) স্তর অনুযায়ী স্টাইপেন্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে প্রতি বছর বিনামূল্যে নিজ নিজ দেশ হতে ঘুরে আসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ হতে যাওয়া ও আসার টিকিট।
* প্রয়োজন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব হাসপাতাল ও সরকারি হাসপাতালগুলোয় বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবস্থা রয়েছে। বৃত্তি বিভাগের পক্ষ হতে হজ, ওমরা আদায় করানো হয় এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানগুলোয় শিক্ষা সফরে নিয়ে যাওয়া হয়।
* সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা ফ্যামিলি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও সৌদি আরবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ও বাহিরে রয়েছে বিভিন্ন সময়ে সহীহ দ্বীন, ঈমান আকিদা শিক্ষার বিভিন্ন কোর্স, দারস, যেখানে অনেক সময়েই সংশ্লিষ্ট কিতাবগুলো বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়, কোন কোন সময় স্টাইপেন্ডর ব্যবস্থা এবং খাওয়া দাওয়া ও আবাসনের ব্যবস্থা থাকে।
সৌদি আরবের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে
কিং সাউদ বিশ্ববিদ্যালয়, রিয়াদ: এটি হচ্ছে সৌদি আরবে সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়, র্যাংকিংয়েও আরব দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে। এখানে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া অনেকটা কম ঝামেলাপূর্ণ, সাধারণত আরব দেশগুলো ছাড়া অন্যদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এখানে সরাসরি অনার্স অধ্যয়নের সুযোগ নেই, তাই আমাদের দেশের ভর্তিচ্ছুদের এখানে অনার্সে অধ্যয়নের জন্য আবেদন করতে চাইলে এখানের আরবি ভাষাতত্ত্ব ইনস্টিটিউটে আবেদন করতে হবে। এই ইনস্টিটিউটের অধীনে রয়েছে অনারব ভাষাভাষীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সে অধ্যয়নের জন্য আরবি ভাষা শিক্ষা ডিপ্লোমা কোর্স, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স, ইত্যাদি।
সাধারণত বছরের জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাসের যে কোন সময় আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় এক, দুই অথবা তিন মাস চলার পর আবার আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
উম্মুল কোরা বিশ্ববিদ্যালয়, মক্কাতুল মুকাররমা: পৃথিবীর সবচেয়ে দামি জায়গা, পবিত্র মক্কা নগরীর প্রাণকেন্দ্র ‘হারাম’ এর সীমানার মধ্যে অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রিন্সেস নূরা বিনতে আবদুর রহমান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, রিয়াদ: এটি পৃথিবীর একমাত্র পূর্ণাঙ্গ স্বতন্ত্র সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যা শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য। এখানে রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণ পর্দা ও নিরাপত্তার সঙ্গে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসহ শিক্ষার উন্নত ও আধুনিক পরিবেশ। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে সৌদিতে অবস্থানরত ও সৌদির বাহিরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের বৃত্তিতে অধ্যয়নের সুযোগ। বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থানরত বিদেশি ছাত্রীদের জন্য ভর্তির আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে।
আবেদনের শর্তগুলো
* ছাত্রীর অবশ্যই সৌদি আরবের ভেতরে অথবা বাহিরে হতে পাস করা উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পাসের সনদ থাকতে হবে। ছাত্রীকে অবশ্যই মেয়াদ চলমান বৈধ ইকামাধারী হতে হবে। ছাত্রীর বয়স ১৭ থেকে ২৫ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে। উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর পাঁচ বছরের মধ্যেই আবেদন করতে হবে।
* ছাত্রীকে অবশ্যই ভর্তির জন্য ‘কুদরতে আম’ বা সাধারণ সক্ষমতা পরীক্ষায় পাস হতে হবে। ছাত্রীকে অবশ্যই মেডিক্যালি ফিট হতে হবে।ছাত্রীকে ভর্তির পর নির্দিষ্ট হারে বেতন পরিশোধ করতে হবে।
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলো
* উচ্চমাধ্যমিক পাসের সনদপত্র। ছাত্রীর বৈধ ইকামার কপি। অভিভাবকের বৈধ ইকামার কপি। ভর্তির আবেদনপত্রে (সংযুক্ত আছে) ছাত্রী এবং অভিভাবক উভয়ের সাক্ষরসহ জমা দিতে হবে।
আবেদনকারীকে উল্লিখিত ডকুমেন্টসগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পিডিএফ ফরমেটে নিম্নোক্ত ই-মেইলে পাঠাতে হবে- Scholarships-i@pnu.edu.sa। সব আবেদনকারীর ক্ষেত্রে ওপরে উল্লিখিত সব শর্তগুলো পূর্ণাঙ্গ পাওয়া না গেলে অ সম্পন্ন আবেদন হিসেবে গণ্য করা হবে।
বিদেশি ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের (বা প্রিপারেটরি ইয়ার শেষে, মেডিকেল অনুষদের (Medicine, Dentistry, Pharmacy, Faculty of Health and Rehabilitation Sciences and Faculty of Nursing) বিষয়গুলো ব্যতীত অন্য বিষয়গুলোতে অধ্যয়ন করতে পারবেন।
অনারব ভাষাভাষীদের জন্য আরবি ভাষা ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমগুলো-
শিক্ষক প্রস্তুতিমূলক কোর্স, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদগুলো ভর্তির জন্য আরবি ভাষা শিক্ষা প্রস্তুতিমূলক কোর্স, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ট্রেনিং কোর্স। ভর্তির আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট আবেদন ফরম রয়েছে, আগে ভর্তির আবেদন হাতে হাতে জমা দিতে হতো, এখন অনলাইনে আবেদনের সিস্টেম রয়েছে। নির্ভরযোগ্য তথ্য মতে সামনের মহররম মাসে অনলাইন আবেদন কার্যক্রমটি চালু হতে পারে।