কৃষি গুচ্ছের ফলাফলে আবারও গরমিলের অভিযোগ
- শেকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৪৪ PM , আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২২, ১০:৩৩ PM
সারাদেশে গুচ্ছ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের পর আবারও গরমিলের অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনকারীদের ফলাফলে বিস্তারিত স্কোরসহ যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়। সেই স্কোরে কয়েকজন ‘মাদ্রাসা বোর্ড’ থেকে এইচএসসি পাশ করা শিক্ষার্থী গরমিল খুঁজে পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় এসএসসি এবং এইচএসসিতে প্রাপ্ত মোট নম্বরকে ২৫+২৫=৫০-এ রূপান্তরিত করে ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে যোগ করে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। মোট ১৩০০ নম্বরের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর হতে ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্য ৮০ বাদ দেওয়া হয়। বাদ দেওয়ার পর প্রাপ্ত নম্বরকে ১৩০০ দিয়ে ভাগ দেওয়া হয় এবং ভাগফলকে ২৫ দিয়ে গুণ করে টোটাল স্কোর বের করা হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ কয়েকজনের ক্ষেত্রে এই হিসাবে ত্রুটি রয়েছে এবং তাদের স্কোর কম এসেছে। যার ফলে মেধাতালিকায়ও তারা পিছিয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: এর চেয়ে কম আবেদন ফি নেওয়া সম্ভব নয়: শাবিপ্রবি ভিসি
মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পাশ করা রিফাত আহমেদ রিপন নামের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, তার এইচএসসির প্রাপ্ত নম্বর ১১৩০ থেকে ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্য ৮০ বাদ দিয়ে সেটাকে মোট নম্বর ১৩০০ দিয়ে ভাগ করার পর ২৫ দিয়ে গুণ করলে স্কোর আসে ২০.১৯। কিন্ত পুনঃনিরীক্ষার ফলাফলে দেওয়া হয়েছে ১৫.৪৪। অর্থাৎ ৪.৭৫ নম্বর কম পেয়েছেন তিনি।
একইভাবে আব্দুল্লাহ আল মাহিন নামে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পাশ করা আরেকজন শিক্ষার্থী জানান, তার এইচএসসির প্রাপ্ত নম্বর ১১০০ থেকে ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্য ৮০ বাদ দিয়ে ২৫ এ রুপান্তর করলে স্কোর আসে ১৯.৬১৫। কিন্তু পুনঃনিরীক্ষার ফলাফলে তাকে দেওয়া হয়েছে ১৫.০০। এ রকম আরও কয়েকজন মাদ্রাসা মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পাশ করা ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে জানা গেছে।
এসব নম্বর গরমিলের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে, কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান অধ্যাপক এ এম এম শামসুজ্জামান বলেন, মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে। গতবারেও এমন সমস্যা হয়েছিল। তবে কোনো শিক্ষার্থীর যদি এমন সমস্যা হয় তবে আমরা তাকে বঞ্চিত করবো না। তাদের বিষয়ে আমরা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেব।
এ বিষয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হারুন-উর-রশীদ বলেন, বোর্ড থেকে আমাদের যে নম্বর পাঠিয়েছে সেটাই আমরা হিসেব করেছি।
বোর্ড থেকে পাঠানোর নম্বরের উপর গড়ে ভুলের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা নিয়ে আমরা বসব। এরকম কিছু হলে আমরা বিশেষ বিবেচনা করব।
উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর সারাদেশে অনুষ্ঠিত হয় কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। ১৫ সেপ্টেম্বর ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর তা নিয়ে ওঠে অভিযোগ। কিছু শিক্ষার্থী ফলাফল নিয়ে অভিযোগ ও স্মারকলিপি দিলে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়। এক হাজার টাকা ফি দিয়ে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেন ৪২১জন শিক্ষার্থী।