প্রথমবারের মতো ভোট দিয়ে উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা
- তৌফিকুল ইসলাম আশিক
- প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:০০ PM , আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪৫ PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে সারাদেশে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে নতুন ভোটার হয়েছেন প্রায় দেড় কোটি।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ নতুন ভোটার। প্রথমবারের মতো ভোট দিয়ে হাসি মুখে ছবি তুলে মুহূর্তটাও স্মরণীয় করে রেখেছেন তারা। শুধু তাই নয়, ভোট দেয়ার প্রমাণস্বরূপ ভোটের কালিযুক্ত আঙুলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। যার ফলে তাদের ফেসবুক ওয়াল সয়লাব হয়ে গেছে কালিযুক্ত বৃদ্ধাঙ্গুলে।
নতুন ভোটাররা প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করে অনুভূতি জানিয়েছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে। তারা জানান, জীবনের প্রথমবারের মতো ভোট প্রদানের অনুভূতি ছিল অন্যরকম। নাগরিক হিসেবে ভোট প্রদানের যে দায়িত্ব সেটা পালন করে ভালো লেগেছে।
প্রথমবারের মতো ভোট দিয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেদোয়ানুর রহমান রাফি বলেন, আব্বু-আম্মুর সাথে ভোট দিতে যাওয়ার মজাই আলাদা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও নতুন ভোটার হিসেবে এ বছর ভোট দেওয়ার বা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহটা বেশি ছিল।
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে সবাই অনেক সাপোর্টিভ ছিল। আমাদের কেন্দ্রে উৎসব মুখোর অবস্থা বিরাজ করেছে। নির্বাচনে ভোট দিয়েছি এটা ভেবে যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমি অবদান রাখছি। এই ব্যাপারটি ভেবে ভালো লাগছে।
ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী জুবায়ের আল মাহমুদ তার সংসদীয় আসন লালমনিরহাটে ভোট প্রদান শেষে বলেন, প্রথমবারের মতো ভোট প্রদানের অনুভূতি বলে প্রকাশ করার মতো না। তবে যে আশা নিয়ে গিয়েছিলাম- অনেক লোকজন থাকবে, সিরিয়াল দিব কিন্তু সেটা হয়নি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই গিয়ে ভোট দিয়ে চলে এসেছি। তবে পরিবেশ অনেক সুন্দর ছিল। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিবেশ ছিলো না।
বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম ইউনভার্সিটির শিক্ষার্থী মেহজাবিন হোসেন বলেন, আমার জীবনের প্রথম ভোট প্রদান অবশ্যই অন্যরকম এক অনুভূতি। ভিড় এড়ানোর জন্য সকাল ৮টার মধ্যেই কেন্দ্রে চলে যাই, তবে কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া যাবে না, এই বিষয়ে কিছুটা হেনস্তার শিকার হই।
তিনি আরও বলেন, পোলিং অফিসাররা সবাই যথেষ্ট সহায়তা করেছেন। কেন্দ্রের ২য় ভোটার হিসেবে ভোট প্রদান করতে পেরে আরো ভালো লেগেছে। আমি আমার প্রার্থীকে নিয়ে অবশ্যই আশাবাদী।
হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পীযুষ কান্তি রায় পার্থ বলেন, নাগরিক হিসেবে ভোট প্রদান আমাদের দায়িত্ব, সেই দায়িত্ব পালন করে এখন অনেক ভালো লাগছে।
তিনি বলেন, জীবনের প্রথম ভোট, শুরু থেকেই একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছিল। ভোটকেন্দ্রে সবকিছু সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। প্রথম ভোটার হিসেবে সবাই অনেকভাবে সাহায্য করেছেন। কোনো ধরনের ঝামেলার শিকার হয়নি। আশা করছি যারা সামনে নেতৃত্বে আসবেন, তারা ভালোভাবে আমাদের দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।