‘তোমারে পুইত্তা ফালামু’ ইবি ছাত্রীকে শিক্ষিকার হুমকি
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২২, ১২:০১ AM , আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২২, ১২:২৭ AM
ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক পরিচয় দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে পুঁতে ফেলার হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষিকা মাহবুবা সিদ্দিকা ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও খালেদা জিয়া হলের হাউজ টিউটর।
শনিবার (২৭ আগস্ট) নিরাপত্তা শঙ্কার কথা উল্লেখ করে ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। তবে মাহবুবা সিদ্দিকা যে স্থানীয় মেয়রের কথা বলে ছাত্রীকে হুমকি দিয়েছেন- সে মেয়র তাকে চেনেন বলে জানিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন বলেন, ‘আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল বসবো। বিভিন্ন পত্রিকায় যে ভাষার কথা উল্লেখ হয়েছে সেটি সত্য হলে এভাবে বলা সমীচীন হয়নি।’
ঘটনাটির অনুসন্ধান করতে খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষক নাজমুল হুদা আহবায়ক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা আক্তার এবং ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক মেহেদী হাসানকে সদস্য করে একটি কমিটি করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট হলের সিট বরাদ্দের জন্য সাক্ষাৎকার দিতে গেলে হেনস্থার শিকার হন ভূক্তভোগী ছাত্রী। এ সময় সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই শিবির আখ্যা দিয়ে তাকে হুমকি দেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। এতে শঙ্কিত হয়ে পরিচিত এক ছাত্রলীগ কর্মীকে বিষয়টি জানান ভুক্তভোগী।
আরও পড়ুন: কানাডায় সাহসিকতার পুরস্কার পেলেন ঢাবি শিক্ষিকা রোমানা
ছাত্রলীগ কর্মী সাগর তাকে হেনস্তা না করার অনুরোধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগীকে ডেকে মাহবুবা সিদ্দিকা বলেন, ‘আমি রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক ছিলাম। চিনো তুমি আমারে? আমি কত পাওয়ার চালাইছিলাম তুমি জানো? তোমার এলাকার মেয়র টিটু ভাইকে চিনো? বইল্লা ওখানে তোমারে পুইত্তা ফালামু।’
ময়মনসিংহ পৌরসভা মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, আমি ওই শিক্ষিকাকে চিনি না। সে এমনটা বললে অবশ্যই অপরাধ করেছেন।
হুমকির বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক মাহবুবা সিদ্দিকা বলেন, বিষয়টি আংশিক সত্য, আংশিক মিথ্যা। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীকে হুমকি দিতে পারে না, শাসন করতে পারে। ওই ছাত্রীকে পরে ডাকা হয়েছে, কারণ সে আমার ছাত্রের মারফতে আমাকে থ্রেট করেছেন।
প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, হলের ৯৯ শতাংশ ছাত্রী বোরকা পরে- এ বিষয়ে আমাদের কোন বাঁধা নেই। একজন ছাত্রী ভুল করলে যেভাবে বোঝানো হয় সেভাবেই তাকে বোঝানো হয়েছে বলে জানি।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, অফিসিয়ালি অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।