ইবিতে ছাত্রদের হলে ছাত্রীরা সিট পাবে!

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল  © সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়য়ে ছাত্রদের হলে সিট বরাদ্দ দেয় হবে। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়েছে। তবে সেই নোটিশ টানানো হয়েছে ছাত্রীদের হলে। মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে কি ছাত্রদের হলে ছাত্রীদের সিট বরাদ্দ দেয়া হবে! কিন্তু না।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়েরে তিন ছাত্রী হলে টনানো হয়েছে ছাত্রদের সিট বরাদ্দের একটি নোটিশ। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে এক ছাত্রী নোটিশের ছবিটি পোস্ট করার পর আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

জানা য়ায়, গত ২৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে শিক্ষার্থীদের আবাসিক সিট বরাদ্দের জন্য বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরেফিন স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ দেওয়া হয়। সেই নোটিশ বিভিন্ন ছাত্র হলে টানানোর পাশাপাশি তিনটি ছাত্রী হলের (দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল ও খালেদা জিয়া হল) নোটিশবোর্ডেও টানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৭১ টিভির গাড়ি ভাংচুর : কুবি ছাত্রলীগ নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার।

নোটিশে বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষার্থীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, হলের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্লকে নতুন সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে। আগ্রহী ছাত্রদের ১০০ টাকা হল রসিদের মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখায় জমা দিয়ে অফিস থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আবেদনপত্র ১২ জুন থেকে ২২ জুনের মধ্যে সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।

রুমানা ইসলাম নামে এক ছাত্রী মজার ছলে মন্তব্য করেন, ‘ফজিলা হলবাসী আপনারা আপনাদের জীবনসঙ্গীদের নোটিশ সম্পর্কে জানান। এটার জন্যই এখানে নোটিশ দেওয়া।’

খালেদা জিয়া হলের এক আবাসিক ছাত্রী লিখেন, ‘ছাত্রী হলের নোটিশ বোর্ডে ছাত্র হলের এলটমেন্টের নোটিশ দেখে অবাক হয়েছি। বিষয়টি আশ্চর্য। হাস্যকরও বটে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেখ হাসিনা হলের এক আবাসিক ছাত্রী বলেন, ‘আমাদের হলে তো কোনো ছাত্র থাকে না। বঙ্গবন্ধু হলের এলটমেন্টের নোটিশ আমাদের হলে দেওয়ার কারণ বুঝলাম না। বিষয়টি অদ্ভুত লেগেছে।’

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মিয়া মো. রাশিদুজ্জামান বলেন, ‘হলে সিট বরাদ্দের নোটিশ সব অফিসেই পাঠাতে হয়। তাই হয়তো ভুল করে এ হলেও দেওয়া হয়েছে। নোটিশটা আমাকে না দেখিয়েই টানানো হয়েছে। শীঘ্রই নোটিশটি নামিয়ে ফেলা হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ