ছুটি হলেই ইবিতে চুরি, তদন্ত কমিটি করেই দায়মুক্ত প্রশাসন
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২২, ০৪:৩৩ PM , আপডেট: ১৩ জুন ২০২২, ০৪:৩৩ PM
কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নিরাপত্তা কর্মীদের উদাসীনতায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। প্রতিটি ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করেই দায়ভার মুক্ত হয় প্রশাসন। তদন্ত কমিটি হলেও প্রতিবেদনের খোঁজ মেলে না। থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও পাওয়া যায় না আশানুরূপ ফলাফল।
চোর থাকছেন ধরা ছোয়ার বাইরে। ফলে পুরো ক্যাম্পাসে চোরের আতঙ্ক বিরাজ করছে। চুরির কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাহীনতাকে দায়ী করছেন সকলেই।
সম্প্রতি গত বুধবার (৮জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের কাচ ভেঙে চারটি বড় স্ট্যান্ড ফ্যান চুরির ঘটনা ঘটেছে। মাদকসক্তরা এ চুরি করেছেন বলে ধারণা করছেন কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ড. শোয়াইব আহমেদ। এ ঘটনায় প্রক্টর বরাবর অভযোগ দেওয়ার পর তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: জাবির ভর্তি আবেদন শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার
গত ৬ জুন সোমবার দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে চুরির ঘটনা ঘটেছে। হলের ১১০ নম্বর কক্ষের আবাসিক ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের মাস্টার্সের এক ছাত্রীর ১ হাজার ৬শ’ টাকা হারিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী এক ছাত্রী জানান, আনুমানিক ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে হলটির দক্ষিণ ব্লকের ২০৯ কক্ষের এক ছাত্রীর জানালা ধরে টানাটানি করছিল এক যুবক। শব্দ শুনে ওই শিক্ষার্থীর ঘুম ভেঙে গেলে তিনি আঁঁতকে উঠেন। এতে করে ওই যুবক বুঝতে পেরে পালিয়ে যায়। হলের প্রাচীরের ভাঙা একটি অংশ দিয়ে ঢুকে জানালা ও দেওয়াল বেয়ে চোর উপরে উঠেছে বলে ধারণা শিক্ষার্থীদের। ওই দেওয়ালে সকালে পায়ের ছাপও দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈদের ছুটি মধ্যে বঙ্গবন্ধু হলের দেশীয় প্রথম ব্লকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় থেকে সিড়ির ১০ টি পাতি চুরি হয়। যার মূল্য প্রায় অর্ধলাখ টাকা। হলের নিরাপত্তা প্রহরী থাকার পরও চুরি হওয়ার ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে হলের শিক্ষার্থীরা।
গত ১৯ জানুয়ারি ক্রিকেট মাঠ থেকে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের খেলার সামগ্রীসহ লাইট সেট চুরি হয়। চুরি হওয়া জিনিসের মূল্য প্রায় লাখ টাকা। কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ শারীরিক শিক্ষা বিভাগের।
দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, ঘটনাটি শোনার পর প্রক্টরিয়াল বডিকে জানিয়েছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে বুঝতে পারবো কি অবস্থা। ওই ছাত্রীর সাথে কথা বলে বিষয়টি দেখবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা হলগুলোর প্রভোস্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। শিগগিরই আমরা আলোচনায় বসব। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।