ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
দরজা বন্ধ করে পরিছন্নতাকর্মীকে পেটালেন অফিস সহকারী
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩১ মে ২০২২, ১২:১০ AM , আপডেট: ৩১ মে ২০২২, ১২:১৮ AM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হলের এক পরিছন্নতাকর্মীকে মারধরের অভিয়োগ উঠেছে ওই হলের অফিস সহকারী সোহেল রানার বিরুদ্ধে। সোমবার (৩০ মে) বিকেলের দিকে বঙ্গবন্ধু হলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, হলের অফিস সহকারী সোহেল রানা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মাহবুবুল আরফিনের কাছে হাফিজ নিয়মিত দেরিতে আসে এবং দ্রুত চলে যায় বলে অভিযোগ করেন। এসময় সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অন্যান্যদের কাছে শোনার জন্য বলেন হাফিজ।
পরে হাফিজও পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, সোহেল রানা নিয়মিত সকাল ১১টার দিকে আসেন; দেড়টার আবার চলে যান এবং প্রভোস্ট যখন থাকেন না তখন হলের ভেতরে মহিলাদের নিয়ে আসেন।
পরে হল থেকে প্রভোস্ট ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। এরপর অফিস সহকারী সোহেল রানা দরজা বন্ধ করে হাফিজকে মারধর করেন। পরে সেখান থেকে হলের ছাত্ররা তাকে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থী মামুনকে সাময়িক বহিষ্কার
এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মারধরের শিকার ওই পরিছন্নতাকর্মী। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, অফিস সহকারী সোহেল রানা আমাকে তার রুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে মারধর করেছেন। এমনকি আমার জীবন নাশের হুমকি দিয়েছেন। এসময় অবস্থায় হলের কয়েকজন ছাত্র আমাকে উক্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন। এমতাবস্থায় আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই।
মারধরের শিকার হাফিজ বলেন, আমার মেয়ে হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় আমি গতকাল দ্রুত বাড়ি গিয়েছিলাম। আজ অফিস সহকারী সোহেল রানা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন। এসময় আমিও সে যে নিয়মিত দেরিতে আসে ও তাড়াতাড়ি চলে যায় এবং মহিলাদের নিয়ে আসে হলে এটা বলি প্রভোস্টকে। এটা বলার অপরাধে প্রভোস্ট চলে গেলে আমাকে কিল, ঘুষি মেরেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
অভিযুক্ত অফিস সহকারী সোহেল রানা বলেন, প্রভোস্ট স্যার বলেছেন নামজের পরে ছাত্ররা ফরম নিতে আসে ওই সময়টা তাকে থাকার জন্য। কিন্তু তিনি থাকেন না। আজকে বলার পর গালাগালি দিয়েছে। তবে আমি তাকে মারধর করিনি।
এ বিষয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। আমি হলে ছিলাম। আমি হল থেকে আসার পরপরই এ ঘটনা ঘেটেছে। ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে সমাধান করা হবে।