ঢাকা কলেজের পোলাপান টাকা চাইলেই মারে (ভিডিও)

  © সংগৃহীত

রাজধানীর নিউমার্কেটের একটি খাবারের দোকানের কর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর। এর জের ধরে সোমবার গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও দোকানিদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলে রাত আড়াইটা পর্যন্ত।

এদিকে, আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে বন্ধ হয়ে যায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মিরপুর সড়ক। শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। যানজট ছড়িয় পুরো শহরে। নিত্য যানজটের এ শহরে যোগ হয় চরম ভোগান্তি। সংঘর্ষ শুরুর তিন ঘণ্টা পর পুলিশ এসে আবার কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। সংঘর্ষ তবু থামেনি।

দুপুরের দিকে ঘণ্টা খানিক থেমে থাকার পর ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। ব্যবসায়ীরা ঢাকা কলেজের সামনে অবস্থান নিয়ে কলেজের ভেতরে শিক্ষার্থীদের দিকে ইটপাটকেল ছুড়েন এবং কলেজের ভেতর থেকে শিক্ষার্থীরাও এসময় পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়েন।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষের এমন ঘটনা নতুন নয়। ঢাকা কলেজের ভৌগলিক অবস্থান বিবেচনা করলেই বোঝা যাবে কেন এমন সংঘর্ষ বারবার।

ঢাকা কলেজকে ঘিরে রয়েছে বেশ কিছু মার্কেট। কলেজটির পাশেই অবস্থিত চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট এবং তার ঠিক পাশেই বিস্তৃত এলাকা জুড়ে নিউমার্কেট।

ঢাকা কলেজের ঠিক বিপরীতে গ্লোব শপিংমল। ঠিক তার পাশেই নূরজাহান মার্কেট আর ধানমন্ডি হকার্স। এর পাশেই গাউসিয়া মার্কেট ও চাঁদনী চক। আছে নীলক্ষেতের বিশাল বইয়ের মার্কেট।

ঢাকা কলেজের আরেক পাশে থাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ আর সাইন্স ল্যাবের সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথেও প্রায়শই সংঘর্ষের ঘটনা ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে নতুন কিছু নয়।

সবক্ষেত্রেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু, তারপর জল গড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। নিয়ণ্ত্রণ করার প্রবণতাও এসব সংঘর্ষের বড় একটা কারণ।

এদিকে, চলমান সংঘর্ষের ঘটনায় কারও পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্যে পাওয়া যায়নি। তবে আলাদাভাবে দুই পক্ষই বিভিন্ন গণমাধ্যমে কথা বলেছেন।

এদিকে, বিকেলে সংঘর্ষ চলকালে এক কর্মচারী গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা কলেজের পোলাপান দোকানে এসে মাল নেয়, টাকা চাইলেই তারা আমাদের মারে। মেরে মাল নিয়ে চলে যাায়। তার মতে, ঢাকা কলেজ সেখান থেকে না সরালে সেখানকার অবস্থা জীবনেও সুস্থ (স্বাভাবিক) হবে না।

এসময় মাথায় হেলমেট পরিহিত আরেকজন বলেন, ছোট একটা বিষয় নিয়ে ঝামেলা....। কর্মচারী ভাইয়েরা দাম বলতেই পারে। তারা চাদাঁবাজি করে নিয়ে যাবে সেটাও তো ঠিক না। এসে বলে আমরা ঢাকা কলেজের পোলাপান, তুই আমাকে চিনিস? আমি এগুলো (মালামাল) টাকা ছাড়া নিয়ে যাবো। আমি কর্মচারী বলবো না টাকা ছাড়া কেন নিবেন? ভাই নিয়েন না। তখন আমাকে মারধর করা হয়...

 


সর্বশেষ সংবাদ