বেরোবিতে শেখ রাসেলের নামফলক ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে

  © টিডিসি ফটো

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামফলক ভেঙ্গে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার (২৫ মার্চ) গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক বিল্ডিংয়ের সংযোগ সড়কের বটগাছে ‘শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর’ লেখা নামফলকটি ভেঙে মাটিতে ফেলে রেখে যায়।

জানা যায়, ২০২০ সালের শুরুর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন যাওয়ার সংযোগ সড়কটিকে ‘শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর’ হিসেবে নামকরণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীলদলের কয়েকজন শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের কয়েকজন শিক্ষককে সাথে নিয়ে একাডেমিক বিল্ডিংয়ের সংযোগস্থলে থাকা বটগাছে ‘শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর’ নামে একটি নামফলক বেঁধে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলে জায়গাটি ‘শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর’ নামেই পরিচিতি পেয়ে আসছে। কিন্তু ঠিক ২৫শে মার্চ কালো রাতের আঁধারে শেখ রাসেলের নাম সংবলিত ফলক ভাঙার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, গতকাল শনিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোকসজ্জিত 'শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে’র সেই বটগাছের সাথে ছবি তুলতে ভীড় করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসে আগত দর্শনার্থীরা। এ সময় অনেকেই ভেঙে ফেলা সেই নামফলক দুটিকে পায়ের নিচে মাড়িয়ে ছবি তোলেন।

এ বিষয়ে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এর সভাপতি ধনঞ্জয় কুমার টগর বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেল স্মরণে বেরোবিসাসের দেওয়া নামফলক ‘শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বর’ ফলকটি যারা স্বস্থান থেকে তুলে ফেলেছে, প্রশাসনের নিকট তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। সেই সাথে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার বিরোধী এই অপশক্তি কে মাথা উঁচু করতে দেওয়া যায় না।

এঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, সারাদেশ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পেরিয়ে এক মহোৎসবে মেতে উঠেছে ঠিক তখনি একাত্তরের পরাজিত শক্তির প্রেত্মারা স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের স্মৃতিকে মুছে ফেলার জন্য অতীতের ন্যায় সকল ষড়যন্ত্র এখনো করে যাচ্ছে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরের নামফলক ভেঙে ফেলার সাথে একাত্তরের পরাজিত প্রেতাত্মাদের হাত আছে বলে মনে করি। এই ধৃষ্টতা যারা দেখিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারসহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, শেখ রাসেল আমাদের কাছে একটি আবেগের নাম। কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এ কাজ করতে পারে না। আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবো।


সর্বশেষ সংবাদ