শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে খুবি শিক্ষার্থীদের প্রতীকী অনশন

শিক্ষার্থীদের প্রতীকী অনশন
শিক্ষার্থীদের প্রতীকী অনশন   © সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে প্রতীকী অনশন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে দুপুর ১২ টা থেকে ২টা পর্যন্ত এই প্রতীকী অনশন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীরা শাবিপ্রবির ভিসি যে ঘৃণিত কাজ করেছেন তার প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, শাবিপ্রবি উপাচার্য এখনো শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি মেনে পদত্যাগ না করে বরং শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের অনশনের ১১৫ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। ফলে যেকোনো সময় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এসময় তারা দ্রুত শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।

আরও পড়ুন: ভিসি-প্রো-ভিসির পর এবার করোনা আক্রান্ত কুবির ট্রেজারার

ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মোস্তাক আহমেদ বলেন, শাবিপ্রবির ভিসি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ দিয়ে হামলা চালিয়ে একটি ঘৃণিত কাজ করেছেন। আমরা মনে করি তিনি এখন তার পদে থাকার জন্য যোগ্য নয়। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। আমরা অতি শিঘ্রই তার পদত্যাগ চাই।

অনশনরত আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শাবিপ্রবি ভিসির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যদি না চায় তাহলে শাবিপ্রবির ভিসি একদিনও তার পদে থাকতে পারেন না। আমাদের একটাই দাবি অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ চাই।

আরও পড়ুন: ঢাবির আসন কমানো-বাড়ানোর সিদ্ধান্ত: কোন বিভাগে কত সিট?

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ১১ দিন ধরে উত্তাল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলনের প্রথম ছয় দিনে দাবি পূরণ না হওয়ায় গত বুধবার বেলা তিনটা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী।

শাবিপ্রবির উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের প্রায় সবার শরীরে জ্বর। নেতিয়ে পড়া শরীরে ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না তারা। এমন শারীরিক অবস্থার মধ্যেও এ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে অনড় তারা। ইতিমধ্যে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেশ কয়েকজন অনশনকারী শিক্ষার্থী।

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আলোচনায় সংকট উত্তরণের আভাস পাওয়া যায়নি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল রবিবার শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা চলার মধ্যেই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।


সর্বশেষ সংবাদ