গাছের বিদায়ে মন খারাপ শিক্ষার্থীদের
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকের সৌন্দর্য বাড়ানো কৃষ্ণচূড়া গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে। গাছটি ছাড়া যেন প্রধান ফটকটি বেমানান। এখন গাছটি আর নেই ভাবতেই শিক্ষার্থীদের মনে যেন কিসের শূণ্যতার হাহাকার বিরাজ করছে। গাছটি তার রক্তিম ফুলে রাঙাবে না। গ্রীষ্মকালে আর কেউ বৃক্ষটির নিচে দাড়িয়ে ছায়া পাবে না। কয়েক দশক ধরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা গাছটিকে কেটে ফেলায় অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের ওই কৃষ্ণচূড়া গাছটি কাটা হলে শিক্ষার্থীরা আবেগী প্রতিক্রিয়া জানায়।
আরও পড়ুন: জয়-লেখককে আল্টিমেটাম: অবশেষে হল কমিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গাছটি কাটা শুরু হলে জড়ো হতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাছ কাটার কয়েকটি ছবি ও ভিডিও পোস্ট করেন অনেকে। সেখানে ২৫ বছরেরও বেশি পুরনো গাছটিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বিভিন্ন আবেগী ক্যাপশন দেন তারা।
প্রকৃতির পালাবদলে প্রতিবছর লাল কৃষ্ণচূড়ায় ভিন্নরূপে হাজির হতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট, ক্যালেন্ডার কিংবা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কৃষ্ণচূড়ার দগদগে লাল ছবিটি বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তা আজ শুধুই ইতিহাস।
আরও পড়ুন: টেলিটকের ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের শিকার
জানা যায়, অযত্ন-অবহেলা, ডাল কাটা, বিভিন্ন পোস্টার আর বিলবোডের্র পেরেকের ভারে গাছটির বেহাল দশা হয়েছিল বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। সেই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কখনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টিপু সুলতান জানান, ‘কৃষ্ণচূড়া গাছটির এমন দশায় আমরাও মর্মাহত। গাছটি মরে শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ডালপালা ভেঙ্গে যেকোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। গাছটি কেটে সেখানে নতুন আরেকটি কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপন করা হবে।’