মশার কামড়ে অতিষ্ঠ ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা
- ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০৪:২৪ PM , আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২১, ০৪:২৪ PM
মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। ক্লাসে বা ছাত্রাবাসে, ডাইনিং বা পাঠকক্ষে সর্বত্রই যেন মশা আর মশা। অসহ্য হয়ে আবাসিক ছাত্রাবাসের অনেক শিক্ষার্থীরাই দিনের বেলায়ও মশারি টাঙিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন বা কয়েল জ্বালিয়ে পড়ছেন। আবার অনেক শিক্ষার্থীই বলছে কয়েল জ্বালিয়েও রেহাই মিলছেনা মশার কামড় থেকে।শুধু আবাসিক ছাত্রাবাস এলাকায়ই নয় বরং দিনের বেলায়ও শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতেও শিক্ষার্থীদের কামড় খেতে হচ্ছে মশার।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে উন্মুক্ত ড্রেণ, ময়লা আবর্জনা, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ, মাঠের বড় ঘাস, আগাছা, ঝোঁপঝাড় সহ নানা কারণে মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। তাছাড়া ক্যাম্পাসে সরকারিভাবে অথবা প্রশাসনের নিজস্ব উদ্যোগে ও নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না। ফলে দিনের-পর-দিন মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে।
তাছাড়া আবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি যেন আরো বেশি। সন্ধ্যা নামতেই ছাত্রাবাসের কক্ষে মশার উপদ্রবে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পারছে না এসব শিক্ষার্থীরা।
কলেজের আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী মাসুদ হাসান বলেন, দিন রাত নেই। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ। মশার জ্বালায় রুমেও বসে শান্তি নেই। আর রাতে তো মশারি ছাড়া ঘুমানোই যায়না।
দক্ষিণ ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী আরিফ হাসান বলেন, মশার সমস্যা পুরো শহরজুড়ে। ক্যাম্পাসে মশার ঔষধ যে পরিমাণ দেওয়া হয় তা যথেষ্ট না। তাই মশা অত্যধিক। দিনের বেলায়ও রুমে কয়েল জ্বালাতে হয়। মশার কামড়ে ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এখনই পদক্ষেপ না নিলে সামনে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে হবে।
তবে মশা নিধনে প্রশাসনের তৎপরতা রয়েছে বলে জানান শহীদ ফরহাদ হোসেন ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা তৎপর আছি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ছাত্রাবাসগুলোতে ঝুড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই. কে. সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, মশার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। আর আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের বলছি তারাও যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে নজর দেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়কদের আমরা বলেছি প্রয়োজনে কেরোসিন সহ মশা নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সাপোর্ট দেয়ার জন্য। শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করে অবশ্যই সুযোগ সুবিধা গুলো গ্রহণ করতে পারবে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে স্থানীয় ১৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আ স ম ফেরদৌস আলম এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।