ইবির কেন্দ্রীয় মসজিদে শব্দ বিভ্রাট, কর্তৃপক্ষের আশ্বাসেও মেলেনি সমাধান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মসজিদ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মসজিদ  © ফাইল ছবি

প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক মসজিদগুলোর মধ্যেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মসজিদ সর্ববৃহৎ। নিমার্ণকাজ শেষ হলে মসজিদটিতে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন ১৭ হাজার মুসল্লি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন কেন্দ্রীয় মসজিদের সাউন্ড সিস্টেমে রয়েছে শব্দ বিভ্রাট। আর এ সমস্যা দীর্ঘদিনের।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও মেলেনি সমাধান। আর এ শব্দ বিভ্রাটে ভোগান্তিতে মুসল্লিরা। মসজিদের সামনের দিকে না বসলে ইমামের কথা ভালভাবে বুঝতেই পারে না তারা। এজন্য মুসল্লীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মুসল্লিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শব্দ বিভ্রাটের জন্য ইমাম সাহেবের কুরআন তেলাওয়াত ও আলোচনা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন না তার। জুমআর দিনে ক্যাম্পাসের আশেপাশের মুসল্লীরাও খতিবের আলোচনা শুনতে আসেন। জুমআর দিনে মুসল্লীতে পূর্ণ হয়ে যায় মসজিদ। শব্দ বিভ্রাটের কারণে মুসল্লীদের ইমামের বক্তব্য তিলাওয়াত ও আলোচনা বোধগম্য হয়না। এ শব্দ বিভ্রাটের কারণে মসজিদে আগত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ আশেপাশের মুসল্লীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুর রউফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সাউন্ড বক্সের সমস্যা দীর্ঘদিনের। প্রশাসনের তদারকির অভাবেই এটির কোন সমাধান হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মসজিদটি ক্যাম্পাসের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থাপত্য। অনেকেই জুমআর দিন ইমামের আলোচনা শুনতে বাইরে থেকে নামাজ পড়তে আসে। শব্দ বিভ্রাটের কারণে সম্মানিত ইমাম সাহেব কি বক্তব্য রাখেন তা মুসল্লিগণ বুঝতে পারেন না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাবো অতি দ্রুত কেন্দ্রীয় মসজিদের শব্দবিভ্রাটের অবসান ঘটানো হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ড. আ স ম শোয়াইব আহমদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমি শব্দ বিভ্রাটের বিষয়টি উপাচার্য মাহাদয়কে অবগত করেছি। তিনি দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে এখনও সমস্যাটির সমাধান হয়নি।

তিনি বলেন, আমি আলোচনার বিষয়গুলো পড়াশুনা করে নোট করে সঠিক মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু শব্দ বিভ্রাটের কারণে আমার আলোচনা মুসল্লীদের বোধগম্য হয় না। এটা আমার দীর্ঘদিনের কষ্ট। আমি চাই দ্রুত এ শব্দ বিভ্রাটের সমাধান করা হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন তারেক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন,‘আমরা চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছি। কুষ্টিয়া ও খুলনা থেকে এক্সপার্ট এনে ভালো বক্স লাগিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু এ শব্দ বিভ্রাট সমাধান করা যায়নি। এখন ঢাকা থেকে ভালো এক্সপার্ট এনে সমাধান করতে হবে। কিন্তু এ বিষয়ে ভাল এক্সপার্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলামগীর হোসেন ভূঁইয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাকে কিছুদিন আগে সাউন্ড সিস্টেমের সমস্যাটি সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। দ্রুত সমস্যাটির সমাধান করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ