রাবি উপাচার্যকে তিনদিনের আল্টিমেটাম
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২১, ০৪:০৩ PM , আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২১, ০৬:৫৪ PM
নিজেদের দাবি আদায়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তিনদিনের আল্টিমেটাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত কর্মচারীরা। তারা বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে যদি দাবি না মেনে নেন, তবে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বাসভবনের পানি, গ্যাসের ও বিদ্যুত লাইনসহ সবকিছুই বন্ধ করে দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া হবে।
আজ সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীরা দাবি আদায়ে এসব কথা বলেন।
এ বিষয়ে সাধারণ কর্মচারী ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণ, সহজ শর্তে ও পাঁচ শতাংশ হারে ঋণসহ আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে গত একমাস ধরে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন আশ্বস্ত করেছেন বারবার। কিন্তু আমাদের দবিগুলো আদায় হচ্ছে না। একারণেই দাবি আদায় করার জন্য আমরা আন্দোলন করছি।
এর আগে সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীরা। ফলে প্রশাসন ভবনে কোন কর্মকর্তা প্রবেশ করতে পারেনি। সারাদিন বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
এদিন বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে প্রবেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষক। সেখানে তারা ভর্তি পরীক্ষার উপ-কমিটির মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন। তবে সেই মিটিংয়েও বাধা দেয়ার চেষ্টা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত কর্মচারীরা। তারা প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়ে সিনেট ভবনের দিকে তেড়ে গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এরপর আবারো প্রধান প্রশাসন ভবনের সামনে আসেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী নেতারা।
এসময় নাসিমুল হক নামের এক কর্মচারী বলেন, উপাচার্য যদি আগামী তিনদিনের মধ্যেই তাদের দাবি না মেনে নেন, তবে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনের পানির লাইন, গ্যাসের লাইন বিদ্যুতের লাইনসহ সবকিছুই বন্ধ করে দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া হবে। উপাচার্যকে ঘাড় ধরে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া হবে।
আন্দোলনের সমাপনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম ভুট্টু বলেন, আগামী ৩১ তারিখে সকাল ৯ টায় আবার আন্দোলন শুরু হবে। কর্মচারীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসের কোন কাজে অংশগ্রহণ করবে না। এক্ষেত্রে কোনো বিভাগীয় চেয়ারম্যান, হল প্রাধ্যক্ষ যদি কোনো কর্মচারীর চাকরি খেয়ে নেওয়ার মতো কোনো কথা বলেন, তবে সেই বিভাগীয় চেয়ারম্যান বা হল প্রাধ্যক্ষকে চেয়ার থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, কর্মচারিরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। সব সমস্যা তো একবারে সমাধান করা সম্ভব নয়। তবুও আমরা তিন সংগঠনের নেতাদের সাথে বসে সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করছি।