জাবিতে বেআইনি কাজে ইবি আইনের শিক্ষক

  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান মন্ডল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, অভিযুক্ত অধ্যাপক শাহজাহান মন্ডল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে তৃতীয় বর্ষের ৩০৪ নম্বর কোর্সে নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক শাহজাহান গেস্ট টিচার হিসেবে ক্লাস নেওয়ার কথা বলেছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, শাহজাহান মন্ডল প্রতি বৃহস্পতিবার অনার্স তৃতীয় বর্ষের কর্পোরেট গভার্নমেন্ট ক্লাস নেন। এখন একটা কোর্সে ক্লাস নিচ্ছেন। তবে, ভবিষ্যতে আরও একটা কোর্স দেয়া হতে পারে।

ইবির আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নুরুন নাহার বলেন, তিনি যে বাহিরে পড়াবেন সে বিষয়ে কাউকে অবহিত করেনি এবং এ বিষয়ে কোন আবেদনও করেনি। তিনি নিয়মিত ক্লাস নেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুন নাহার বলেন, নিয়মিত বলতে তিনি শুধু শনিবার ক্লাস নেন।

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমি গেস্ট টিচার হিসেবে ক্লাস নিয়েছি। এক্ষেত্রে প্রশাসনের অনুমতি নেয়নি। কারণ, তারা আমাকে পার্ট টাইম হিসেবে দু’টি কোর্স অফার করে গত ২৫ দিন আগে। কিন্তু এ সংক্রান্ত চিঠি বিভাগে পাঠানোর পরও আমি হাতে না পাওয়া প্রসিডিউরটা মেন্টেইন করতে পারেনি।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, শাহজাহান মন্ডলের জন্য মাস্টার্সের মানবাধিকার আইন ও চতুর্থ বর্ষের সাক্ষ্য আইন পাঠদানের জন্য বরাদ্দ ছিল। তিনি মানবাধিকার আইন পড়ানো থেকে অব্যহতির জন্য সভাপতি বরাবর আবেদন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোন শিক্ষক অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বা কোন প্রতিষ্ঠানে খন্ডকালীন চাকরিতে যোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমতি নিতে হয়। অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্ট টাইম ক্লাস নেন সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, অন্যত্রে পার্ট টাইম ক্লাসের ব্যাপারে তিনি কোন অনুমতি নেননি।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরিরত কোন শিক্ষক কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত অন্যত্রে অতিরিক্ত সময় চাকুরি করার কোন নিয়ম নেই। কারোর বিরুদ্ধে যদি এমন অভিযোগ উঠে তাহলে কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি ছাড়া এ ধরণের বাইরে ক্লাস নেওয়া এটা গ্রহণযোগ্য নয়। ব্যাপারটি খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এদিকে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিঠি গঠন করেছে ইবি প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এস এম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নাসিম বানুকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহের আলী ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম।


সর্বশেষ সংবাদ