নিরাপত্তাহীনতায় উপাচার্য ফারজানা, থানায় জিডি!

  © ফাইল ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চলমান আন্দোলনের মধ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে নিজ কার্যালয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার ‘হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাত আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার উপাচার্যের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদিপ্ত শাহীন আশুলিয়া থানায় নজির আমিন জয় ও মোহাম্মাদ মাহাথিরসহ পাচঁজন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, চলমান আন্দোলনের মধ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম নিজ কার্যালয়ে দায়িত্বরত অবস্থায় বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে চারুকলা বিভাগের ৪২ ব্যাচের ছাত্র নজির আমিন জয় এবং ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৪ ব্যাচের ছাত্র মাহথির মোহাম্মাদের নেতৃত্বে আরও পাচঁজন শিক্ষার্থী। এসময় তারা উপাচার্যকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও উপাচার্যকে অফিস থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। অফিস থেকে প্রস্থান না করলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার হুমকিও দেয় তারা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ বলেন, এটা একটা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ। আমরা অনুমতি নিয়েই তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেছি। আন্দোলনকারীদের উপর এমন নেক্কারজনক হামলার পর আমরা তাকে উপাচার্য কার্যালয়ে আর দায়িত্বপালন না করতে বিনীত অনুরোধ জানাই। এটাকে হুমকি হিসেবে সাজানো অত্যন্ত বাজে এবং সুস্পষ্ট ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এ ঘটনার আরেক অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয় বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে তার শিক্ষার্থীরা কথা বলতে গেলে সেটাকে যদি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাহলে সেটি দু:খজনক। এর মধ্য দিয়ে এই উপাচার্য কতটা অসহিষ্ণু মনোভাবের তা বুঝতে পারা যায়। এই ঘটনা প্রমাণ করে উপাচার্য নিজেই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে পরিণত হয়েছেন। যিনি ভিত্তিহীন অভিযোগে বারবার শিক্ষার্থীদের নামে মামলা ঠুকে দেন।

জিডির ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রেজাউল হক দিপু দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, জিডি হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখনো হাতে পাইনি। পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ