কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে

  © টিডিসি ফটো

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) ময়মনসিংহের অদূরে ত্রিশালে অবস্থিত ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ২৩টি বিভাগের অধীনে প্রায় সাত হাজারের অধিক শিক্ষার্থী পাঠ নিচ্ছেন।

কলা অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ- এই চারটি অনুষদের অধীনে ২৩ টি বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয় পাঁচটি ইউনিটে। সেগুলো হল- এ, বি, সি, ডি ও ই-ইউনিট।

ভর্তি পরীক্ষায় এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ এর উপর থাকছে ৩০ নাম্বার। এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ এর সাথে ২.৪ দ্বারা গুণ এবং এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ এর সাথে ৩.৬ দ্বারা গুণ করতে হবে। প্রথমবারের মত এমসিকিউ এর সাথে থাকছে লিখিত পরীক্ষা।

১০০ নাম্বারের পরীক্ষায় থাকছে ৭৫ নম্বর এমসিকিউ এবং ২৫ নম্বর লিখিত। এ, বি, সি, ডি, ই ইউনিটের ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ ৭৫ নম্বরের মধ্যে যারা ন্যূনতম ৩০ নম্বর এবং কোটার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বর পাবে শুধুমাত্র তাদেরই লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হবে।

সকল ইউনিটের ক্ষেত্রে লিখিত ২৫ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ১০ নম্বর এবং কোটার ক্ষেত্রে ৮ নম্বর পেতে হবে। ই-ইউনিটের ৫০ নম্বর ব্যবহারিক পরীক্ষায় ন্যূনতম ২০ নম্বর এবং কোটার ক্ষেত্রে ১৭ নম্বর পেতে হবে। এমসিকিউ ৭৫ নম্বরের পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের নম্বর ১, তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।

এ-ইউনিট পরীক্ষায় এইসএসসি/ সমমান উত্তীর্ণ বিজ্ঞান শাখা, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা, মানবিক শাখা, কারিগরি শাখা, মাদরাসা সহ সবাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তিনটি বিভাগে আসন সংখ্যা ১৫৫টি, যার মধ্যে ৫৫ টি আসন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ৫০টি আসন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং ৫০টি দর্শন বিভাগ।

পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগ থেকে হলে সর্বনিম্ন ৩.৫০ সহ মোট ৭.৫০ থাকতে হবে। ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে নূন্যতম ৩.৫০ সহ মোট ৮.০০ থাকতে হবে। কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের নূন্যতম ৩.৫০ সহ ৮.৫০ থাকতে হবে।

এ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ পদ্ধতিতে থাকছে বাংলা-৩০,ইংরেজী-৩০, সাধারন জ্ঞান -১৫। লিখিত পরীক্ষায় থাকছে বাংলা-১০ এবং ইংরেজি ১৫ নম্বর। তবে ইংরেজি বিষয় পেতে হলে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় আলাদা ভাবে ইংরেজি বিষয়ে জিপিএ ৪.০০ থাকতে হবে এবং এমসিকিউ পরিক্ষায় ইংরেজিতে ১২ পেতে হবে এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পুনরায় ১৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় ৬ নম্বর পেতে হবে।

বি-ইউনিটের (বিজ্ঞান অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করা সকল শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে, তবে নূন্যতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট ৭.৫০ থাকতে হবে। ডিপ্লোমা প্রাপ্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটিতে জিপিএ ন্যূনতম ২.৫ সহ (জিপিএ-৪.০০ স্কেলে) সর্বমোট জিপিএ ন্যূনতম ৬.৫০ থাকতে হবে। এমসিকিউ পরীক্ষায় থাকছে গণিতে- ২৫, পদার্থে-২৫, রসায়নে-১৫, ইংরেজিতে-১০।

লিখিত পরীক্ষায় থাকছে বাংলা-০৫, ইংরেজি-০৫, পদার্থ বিজ্ঞান-০৫, গণিত-০৫, রসায়ন-০৫ বি ইউনিটে চারটি বিভাগে মোট আসন ১৬০টি। এরমধ্যে সিএসই বিভাগে ৪০টি, ইইই বিভাগে ৪০টি, ইএসই বিভাগে ৪০টি এবং পরিসংখ্যান বিভাগে ৪০টি।

সি-ইউনিটে (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক, মাদরাসা বোর্ডসহ সকল বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা পরিক্ষা দিতে পারবে। এক্ষেত্রে ভর্তি ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে হলে নূন্যতম ৩.৫০ সহ মোট ৭.০০ পেতে হবে। বিজ্ঞান ও কারিগরি থেকে হলে নূন্যতম ৩.৫০ সহ মোট ৭.৫০ পেতে হবে।

শিক্ষার্থীকে ৭৫ নম্বরের এমসিকিউ পরিক্ষায় ব্যবসায় বিভাগ ব্যতীত অন্য বিভাগের ক্ষেত্রে বাংলা ১০, ইংরেজি ২৫, গনিত ১৫ সাধারণ জ্ঞান ৩০ ব্যবসায় বিভাগের ক্ষেত্রে বাংলা ১০, ইংরেজি ২৫, গনিত ১৫, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ ১৫ এবং হিসাববিজ্ঞান ১৫।

লিখিত পরীক্ষায় থাকছে বাংলা-০৮, ইংরেজি-০৯, গণিত-০৮। সি-ইউনিটে চারটি বিভাগে মোট ২০০টি আসন। যার মধ্যে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগে -৫০ টি, ফিনান্স এণ্ড ব্যাংকিং বিভাগে- ৫০টি, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৫০ টি এবং ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ৫০টি।

সাধারণত মোট আসনের ১৫-২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে, ৫-১০ শতাংশ মানবিক ও মাদ্রাসা থেকে এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৭০-৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী নেওয়া হয়( সম্ভাব্য)।

ডি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) পরিক্ষার্থীকে যেকোন বিভাগ থেকে এসএসসি ও এএইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে হলে নূন্যতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট ৮.০০। ব্যবসায় শিক্ষা থেকে হলে নূন্যতম ৩.৭৫ সহ মোট ৮.০০ এবং মানবিক থেকে হলে নূন্যতম ৩.৫০ সহ মোট ৭.৫০ থাকতে হবে।

ডি-ইউনিটের এমসিকিউ পরিক্ষায় থাকছে বাংলা-১৫, ইংরেজি-২৫, গণিত-০৫, সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ)-১০, সাধারণ জ্ঞান (আন্তর্জাতিক)-১০, আই.সি.টি-০৫, বিষয় ভিত্তিক-০৫ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় থাকছে ভাষান্তর-১০, অনুচ্ছেদ শুদ্ধিকরণ-১০, সাম্প্রতিক অনুচ্ছেদ-০৫।

ডি-ইউনিটে ৮ টি বিভাগে ডিপার্টমেন্ট এ মোট আসন সংখ্যা-৪৪০টি। এরমধ্যে আইন ও বিচার বিভাগ ৫৫টি, অর্থনীতি বিভাগ ৫৫টি, সরকার ও পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ ৫৫টি,ফোকলোর বিভাগে ৫৫টি, নৃবিজ্ঞান বিভাগ ৫৫টি, পপুলেশন সাইন্স বিভাগ ৫৫টি, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগ ৫৫টি, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ৫৫টি।

সাধারণত আসনের (বিভাগ ভেদে ভিন্ন হতে পারে) ৫০-৬০ শতাংশ মানবিক শিক্ষার্থীদের থেকে ও ৪০-৫০ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের থেকে এবং ১০ শতাংশের মত ব্যবসায় শিক্ষা শিক্ষার্থীদের থেকে নেওয়া হয় (এটা চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত না)।

ই-ইউনিটে (কলা অনুষদ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকল বিভাগ থেকে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা পরিক্ষা দিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় বিভাগ এ নূন্যতম জিপিএ ৩.০০ সহ মোট ৭.০০ পেতে হবে।

ই-ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার ক্ষেত্রে থাকছে বাংলা ২০, ইংরেজী ১৫, চারুকলা ১০, সঙ্গীত ১০, থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ ১০ এবং ফিল্ম এন্ড মিডিয়া ১০। লিখিত পরীক্ষায় থাকছে, বাংলা (বর্ণনামূলক) ১৫ ইংরেজি (বর্ণনামূলক) ১০।

এছাড়াও উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে ৫০ নম্বরের বিষয়ভিত্তিক ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হবে। এক্ষেত্রে চারুকলার বিভাগের জন্য চিত্রঙ্গনের উপর, সঙ্গীত বিভাগের জন্য গানের উপর, ফিল্ম এন্ড মিডিয়া এবং থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজের জন্য অভিনয়ের উপর ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হবে। ৫০ নম্বর ব্যবহারিক পরীক্ষায় ন্যূনতম ২০ নম্বর এবং কোটার ক্ষেত্রে ১৭ নম্বর পেতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ