শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সমর্থন
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৩:৫০ PM , আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৩:৫০ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে দুই ঘণ্টা আলোচনা করেও কোন ফল না পাওয়ায় আলোচনা শেষে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে রাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়ন।
বৃহস্পতিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানানো হয়।
আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন চন্দ্র মহন্ত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে একজন ভিসির দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিষয়ে মনোনিবেশ করা। এর বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত রাজনৈতীক ধারনার প্রতিফলন ঘটানো কিংবা শিক্ষাকে পুঁজি করে ব্যবসা করার কোন সুযোগ থাকেনা।
তিনি বলেন, রাবি ভিসি’র বক্তব্য সরাসরি স্বাধীনতার চেতনা এবং সার্বভৌমত্বের সাথে সাংঘর্ষিক যা তার প্রশাসনিক কাঠামোর প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল। এই তোষণমূলক বক্তব্যের জন্য রাষ্ট্রের ছাত্র-জনতার কাছে তাকে তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে। আমরা চাইনা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব কোন স্বাধীনতা পরিপন্থী বক্তব্যদাতার তত্ত্বাবধানে থাকুক।
শিক্ষক নিয়োগে দূর্নীতির বিষয় নিয়ে মিঠুন বলেন, প্রো-ভিসির সাথে দরকষাকষির ফাসকৃত ফোনালাপে এটাই প্রতিয়মান হয় যে আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে যা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের মতো কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এর দায় থেকে অব্যাহতির কোন সুযোগ তার নেই।
তিনি বলেন, যদি এটা প্রমাণিত হয় তাহলে অবিলম্বে তার দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দিতে হবে। যদি এই দুই ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন না নেন তাহলে তাদের কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করবে বলে আমরা মনে করি। এই কলঙ্ক মোচনের দায়িত্ব সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমেই পরিসমাপ্ত করবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ইতিহাস বিভাগ ও জন ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র আয়োজিত তিন দিনব্যাপী একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তৃতায় উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দিয়েছিলেন।
অপরদিকে সোমবার রাতে রাবির আইন বিভাগে প্রভাষক নিয়োগে নির্বাচনী বোর্ডের একজন আবেদনকারীকে অর্থের বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে উপ-উপাচার্য চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়ার একটি কথোপকথন ফাঁস হয়েছে। আবেদনকারীর স্ত্রীর সঙ্গে উপ-উপাচার্যের দর-কষাকষির ওই অডিওতে তাকে টাকার বিষয়ে কথা বলতে শুনা যায়।