জাবিতে ইয়াবা সেবনে বাধা
কর্মীদের পেটাল ছাত্রলীগের সাবেক নেতা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ মে ২০১৯, ০৮:২৩ PM , আপডেট: ১৭ মে ২০১৯, ০৮:৫২ PM
ইয়াবা সেবনে বাঁধা দেয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের চার কর্মীকে মারধর করেছে শাখা ছাত্রলীগেরই সাবেক এক নেতা। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল এলাকায় অবস্থিত বাস ডিপোতে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। মারধরকারী রাজিবুল হাসান রাজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল থেকে বাইকের তেল নিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন চার শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ডিপোর কাছাকাছি পৌঁছালে তার পরিত্যক্ত একটি বাস থেকে হট্টগোলের আওয়াজ পান। এসময় তারা বাসে অবস্থানরতদের বের হয়ে আসতে বলেন।
এরপর তারা বাস থেকে নেমে আসলে শিক্ষার্থীরা তাদের জিজ্ঞাসা করেন, ‘বাসের মধ্যে কি করছিলেন?’ এসময় তারা শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হন এবং রাজিবের নেতৃত্বে তিন থেকে চারজন স্থানীয় লোক শিক্ষার্থীদের মারধর করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গিয়ে সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে এবং রাজীব ও তার সহকারীদের মারধর করে। এসময় রাজিবকে আটক করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।
পরে শিক্ষার্থীরা আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে একজনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা হয়।
মারধরের শিকার এক ছাত্রলীগকর্মী বলেন, তারা বাসে ইয়াবা খাচ্ছিলো বুঝতে পেরে আমরা তাদেরকে নেমে আসতে বলি। তারা বাস থেকে নেমেই আমাদেরকে মারধর শুরু করে। এছাড়াও রাজিব বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ইয়াবা সরবরাহ করে বলেও আমাদের কাছে তথ্য আছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে রাজিবুল হাসান রাজিবের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগর চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, মাদক গ্রহণের বেশ কিছু চিহ্ন রাজিবের শরীরে পাওয়া গেছে। তাকে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। সেই সঙ্গে তাকে রিহাবে পাঠানোর জন্যও তার পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জাবি শাখা ছাত্রলীগ সর্বদাই আপোষহীন। মাদকের বিরুদ্ধে যেকোনো অভিযানে আমরা প্রশাসনকে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছি। এছাড়াও ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যদি কেউ মাদক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ দিতে পারে তাহলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।