ইবিতে নববর্ষ উদযাপিত হবে ১৬ এপ্রিল
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪২ PM , আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪২ PM

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখের বদলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে এবারের বাংলা বর্ষবরণ করা হবে ৩ বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রশাসন ভবন থেকে শোভাযাত্রা বের করে শোভাযাত্রা শেষে বাংলা মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে বাংলা বর্ষবরণ-১৪৩২ উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক ড. মোঃ মনজুর রহমান ও সদস্য সচিব মোহাঃ শামীম আকতার স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই তথ্য জানানো হয়৷ তবে পহেলা বৈশাখের আয়োজন তেশরা বৈশাখে করার উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এবং উদযাপন কমিটির ব্যবস্থাপনায় আগামী ৩ বৈশাখ, ১৪৩২ (১৬ এপ্রিল) বুধবার বাংলা বর্ষবরণ উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য ও ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে সজ্জিত হয়ে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মির্জা শাহরিয়ার বলেন, জাতীয়ভাবে আগামীকাল ছুটি অথচ আগামীকাল বর্ষবরণ প্রোগ্রাম হবে না। উল্টো প্রোগ্রাম হবে ১৬ তারিখে যেদিন আমাদের ক্লাস পরীক্ষা থাকবে। তাহলে আমরা কিভাবে বর্ষবরণের সেই আনন্দ উৎসব উপভোগ করব? বাংলা মঞ্চে নববর্ষের অনুষ্ঠান হলেও আমরা হয়তো ক্লাসে হোয়াইট বোর্ডের দিকে তাকিয়ে থাকবো। ছুটি দেওয়ার উদ্দেশ্যই হচ্ছে অফিস আদালতের ব্যস্ততা পাশে রেখে মানুষ যেন দিনটি উৎযাপন করতে পারে। ছুটির দিনে কেও প্রোগ্রাম দেখতে আসবে না এমনটা ভাবলে ছুটি না দিলেই ভালো হতো।
জানতে চাইলে বাংলা বর্ষবরণ-১৪৩২ উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মনজুর রহমান বলেন, অবশ্যই ১৪ তারিখে করতে পারলে ভালো হতো, আমাদের মনে ওইদিনটাই গেথে আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দুটি শহরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে হওয়াতে ছুটির দিনে ক্যাম্পাসে উপস্থিতি অনেক কম থাকে, ছুটির দিনে দর্শনার্থীরা আসতে চায় না। তাই আমরা এই আয়োজনটি ১৬ তারিখ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বাঙালি ঐতিহ্য ও ইসলামী মূল্যবোধকে কিভাবে সমন্বয় করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইসলামী মূল্যবোধের উপর সম্মান রেখে আমরা ইসলামের সাথে যায়না এমন কিছু করব না। অনেক প্রাণীর প্রতিকৃতি আছে যেগুলোর সাথে আমরা বাঙ্গালী সংস্কৃতির সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই সেই প্রতিকৃতি গুলো এভয়েড করা হয়েছে। কোন ধরনের প্রাণী অথবা মানুষের প্রতিকৃতি প্রদর্শন না করেই আমরা বাঙালি ঐতিহ্য তুলে ধরবো।
এ বিষয়ে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, প্রকৃতপক্ষে যেদিন নববর্ষ শুরু সেদিনই এই উৎসব পালন করলে ভালো হতো বলে আমি মনে করি। অন্যথায় পরবর্তীতে আর উৎসবের দিনের মতো সেইরকম আনন্দ বা স্পৃহা থাকে না। কিন্তু উপাচার্য মহোদয়ের কাছ থেকে জানা গেছে যে সেদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম থাকবে তাই এই উদ্যোগ নিয়েছেন। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।