পরীক্ষার হলে ‘নকল’ নিয়ে ধরা পড়ে গিলে ফেললেন ববি শিক্ষার্থী
- ববি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৭ PM , আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৭ PM

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) চতুর্থ বর্ষের মিডটার্ম পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে এক শিক্ষার্থী ধরা পড়েন। পরীক্ষার সময় নকল কাগজ হাতে ধরা পড়লে শিক্ষার্থী তা গিলে ফেলেন। তার পরবর্তীতে একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশে সংশ্লিষ্ট কোর্সটি বাতিল করা হয় এবং পরবর্তী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এ ঘটনা নিশ্চিত করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং শৃঙ্খলা কমিটির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন। শিক্ষার্থীটি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী।
এছাড়া, আরও কিছু শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার দায়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিল তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে, তবে অনেক শিক্ষার্থী নকলের অভিযোগ অস্বীকার করায় তাদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তি দেওয়া হয়নি।
নকল ধরা পড়া শিক্ষার্থীর বিষয়ে বলা হয়েছে যে, পরিদর্শক (শিক্ষক) তার কাছ থেকে নকল কাগজ নেওয়ার সময় তিনি তা গিলে ফেলেন। শিক্ষকের মতে, ওই শিক্ষার্থী তার কাছে নকল কাগজ ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করেন, তবে পরবর্তীতে প্রশ্নপত্রের সাথে কাগজের মিলকরণ সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একাডেমিক কাউন্সিল সংশ্লিষ্ট কোর্সটি বাতিল করার সুপারিশ করেছে।
এদিকে, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন যে, অনেকের নকল কাগজ ধরা সত্ত্বেও শাস্তি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন, আবার কিছু শিক্ষার্থীকে অভিযোগ স্বীকার না করেও শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী মনে করছেন যে, শিক্ষকদের অন্তর্কোন্দলের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, কারণ তারা একে অপরের আস্থাভাজন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিস জানায়, নকল বা দূষণীয় কাগজ ধরা পড়লে প্রথমে ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয় এবং একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তী সময়ে কমিটি দোষী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে একাডেমিক শাস্তির সুপারিশ করে। এরপর, ওই সুপারিশ একাডেমিক কাউন্সিলে উত্থাপন করা হয় এবং সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, যেসকল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সুমি রানী সাহা জানিয়েছেন, এক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় নকল করার সময় বার বার নকল কাগজ চাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত তা গিলে ফেলেন। তবে তিনি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।