ভিক্টর বাসে জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, ঈদ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভাড়া মওকুফ
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৪ PM , আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০২:৫০ PM

ভিক্টর ক্লাসিক বাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বাস আটক করে বিক্ষোভ করলে বাস মালিকপক্ষ দোষ স্বীকার করে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এ ছাড়া আসন্ন ঈদুল ফিতর পর্যন্ত ক্লাসিক বাস জবি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো না নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেয় তারা।
সোমবার (১৭ মার্চ) এক নারী শিক্ষার্থী বাসে ওঠার পরপরই চালক ও সহকারী তার উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করতে থাকেন এবং শারীরিকভাবে হেনস্তার চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগী বাসে থাকা অন্য যাত্রীদের সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে তিনি বাস থেকে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জবি নিরাপত্তা সেল’-এ অভিযোগ করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে জবি নিরাপত্তা সেল শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিক্ষোভ করে এবং ভিক্টর ক্লাসিক মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনায় বসে। মালিকপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেয়।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির তথ্য চেয়ে বিজ্ঞপ্তি
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো ছিল শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করার দায় ভিক্টর ক্লাসিক মালিক সমিতিকে নিতে হবে, অভিযুক্ত স্টাফদের চাকরিচ্যুত করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, আসন্ন ঈদুল ফিতর পর্যন্ত জবি শিক্ষার্থীদের ভাড়া মওকুফ করতে হবে এবং পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা যাবে না, ভিক্টর ক্লাসিক বাসের স্টাফ, ড্রাইভার, হেল্পার ও কন্ট্রাক্টরকে নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে, নারী শিক্ষার্থীদের ও যাত্রীদের যথাযথ মূল্যায়ন হচ্ছে কি না, এ জন্য প্রতিটি বাসে অভিযোগ বক্স রাখতে হবে, জরুরি পুলিশ সহায়তার জন্য সরকারি হটলাইন নম্বর রাখতে হবে ও মানবাধিকার সংস্থার হটলাইন নম্বর রাখতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা ঘটলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এসব দাবি বাস্তবায়নে ভিক্টর ক্লাসিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক মানিক ও সহসভাপতি মো. আসলাম স্বাক্ষর করেছেন।
আরও পড়ুন: সাদ্দাম-ইনানসহ ঢাবি থেকে বহিষ্কারের ১২৮ জনের তালিকায় ছাত্রলীগের যেসব নেতাকর্মী
গত বছরের অক্টোবরেও ভিক্টর ক্লাসিক বাসে জবির আরেক ছাত্রী হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। সে সময়ও ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ১১টি বাস আটকে রেখেছিলেন।