নজরুল কলেজের ছাত্রাবাসে দুই সাংবাদিকদের ওপর হামলাচেষ্টা-লুটপাট
- কবি নজরুল কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:০২ PM , আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৮ AM

তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে রাজধানীর পুরান ঢাতার কবি নজরুল কলেজের ছাত্রাবাসে সাধারণ শিক্ষার্থীর পরিচয়ে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলাচেষ্টা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কলেজের শহীদ শামসুল আলম ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের কলেজ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ খান ও প্রবাস টাইমসের রিপোর্টার রনি মিয়া।
জানা গেছে, ঘটনার আগে মুঠোফোনে এই দুই সাংবাদিকের একজনকে ছাত্রাবাসে আসতে বলেন অজ্ঞাত একব্যক্তি। পরে ছাত্রাবাসে তাদের ২০৯ নম্বর রুমে আসার আগেই রুমের সব জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। এসময় দুই সাংবাদিক কারণ জানতে চাইলে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় সাধারণ শিক্ষার্থীর পরিচয়ধারীদের। এক পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীর পরিচয়ধারী রুহুল আমিনসহ কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি মারধর করার চেষ্টা করেন তাদের।
ভুক্তভোগী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের কলেজ প্রতিনিধি ও কবি নজরুল কলেজের দর্শন বিভাগের ছাত্র আব্দুল্লাহ খান বলেন, আমার রুমমেট রনি মিয়াকে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে কল দিয়ে ছাত্রাবাসে আমাদের রুমের সামনে আসতে বলা হয়। এসেই দেখি আমাদের জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং রুমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি কলেজ প্রশাসনের অনুমতিক্রমে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অবস্থান করছি। আমার যদি কোনো অপরাধ থাকে তবে কলেজ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। তবে যারা আমার রুমে তালা ভেঙে জিনিসপত্র বাইরে ফেলেছে এবং আমার অ্যাকশন ক্যামেরা ও প্রায় ৩০ হাজার টাকা লুট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
প্রবাস টাইমসের রিপোর্টার রনি মিয়া বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা সাধারণ শিক্ষার্থীর পরিচয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা ও লুটপাট করেছে। কিছুদিন ধরে হলের গ্রুপ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়া হচ্ছিল। এই ঘটনার নেতৃত্বে ছিল রুহুল আমিন, মুজাহিদ, আলভী এবং আরও কিছু ব্যক্তি।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় তারা আমাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং নানা ধরনের হুমকি প্রদান করেছে। যদি আমাদের কোনো ভুল থাকে, তবে সেটা কলেজ প্রশাসন দেখবে, কারণ তারা হল থেকে আমাদের বের করে দেওয়ার দায়িত্ব রাখে না।
এ বিষয়ে কবি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীর পরিচয়ে কেউ হলের দায়িত্ব নিতে পারে না। ছাত্রাবাসে কে থাকবে, সেটা কলেজ প্রশাসন নির্ধারণ করবে। কোনো শিক্ষার্থী আরেক শিক্ষার্থীকে বের করে দিতে পারে না। অভিযোগ থাকলে তা প্রক্রিয়াগতভাবে তদন্ত হবে।