জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে ‘মৌখিকভাবে’ হস্তান্তর
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৫২ PM , আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১১ PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে ‘মৌখিকভাবে’ হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই ক্যাম্পাস পরিদর্শন করবে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে ইউজিসি ও সেনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভার পর উপাচার্য এ কথা জানান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রথম ফেজের কাজ চলমান। এ কাজটি কীভাবে নেবে, সেটা তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করবেন। সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে একটি রোডম্যাপ তৈরি করবেন। কোন কাজ কোন অবস্থায় তার তথ্য নিয়ে বিবেচনায় নিয়ে অ্যানোমালি চিহ্নিত কিরে রিভাইজড ডিপি প্রস্তুত করবেন।’
আরও পড়ুন: গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল কুবি
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাণী ভবন ও শহীদ হাবিবুর রহমান হলের স্টিল স্ট্রাকচার ভবন নির্মাণের কাজের বিষয়েও আমরা তাদের অনুরোধ করেছিলাম। তারা এ কাজটি করার প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছেন। তারা এই সাইটটিও ভিজিট করবেন। এটাও আমাদের জন্য অনেক বড় একটি সাফল্য।’
শিক্ষার্থীদের শাটডাউন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের পুরো কৃতিত্ব দিতে চাই। পাশাপাশি সরকার যেভাবে আমাদের সমস্যা সমাধানে নজর দিয়েছে, সহযোগিতা করেছে সে ব্যাপারেও আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের শাট ডাউন তুলে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এটা তুলে নিলে সবাই উপকৃত হবে। ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো সন্দেহ নেই যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর মাধ্যমেই হবে।’
উপাচার্য বলেন, ‘এ রকম বহুমুখী সভার রেজ্যুলিউশন দিতে সময় লাগে। উনারা খুবই দ্রুত কাজটা করবে। এছাড়া রোববার সেনা প্রতিনিধিরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ভিজিটে যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: ববির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও দুই হলের নাম পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের দুটো ফেজের কাজের মধ্যে প্রথম ফেজের কাজের যেগুলো চলমান ও যেসব কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি এসব কাজের বিষয়ে একটি রিভাইজ ডিপিপি (আরডিপিপি) করে কাজ শুরু করবেন। আর দ্বিতীয় ফেজের কাজের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে সেটাও তারা সম্পন্ন করবেন।’
এদিকে লিখিত না পাওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা এখনো ক্লিয়ার না সেনাবাহিনীর হাতে ঠিকভাবে কাজ হস্তান্তর হচ্ছে কি না। আমাদের কমপ্লিট শাটডাউন চলমান থাকবে। যেদিন কাজ কাগজে-কলমে সেনাবাহিনীর হাতে যাবে, সেদিন আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করব।’