গুচ্ছ নয়, নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে ইবিতে মানববন্ধন, ভিসিকে স্মারকলিপি
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ PM , আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ PM
আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ও উপাচার্যের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের নেতাকর্মীরা। আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা। এসময় আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ার আল্টিমেটাম দেয় সংগঠনটি। মানববন্ধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব নসরুল্লাহর কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় নেতাকর্মীরা।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইবি সংসদের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক নূর আলম, সহ-সভাপতি উদয় দেবনাথ ও সাদিয়া মাহমুদ মীম, সহ- সম্পাদক ইমতিয়াজ আহাম্মেদ ইমন সহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নূর আলম বলেন, বিগত ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাত্রা শুরু করলেও সুবিধার চেয়ে অসুবিধা বেশি হয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক বিভাগ আসন খালি রেখেই ক্লাস শুরু করতে হয়, ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হয়। ফলে বিভাগ সমূহের সেশনজট, শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার পূরণে ব্যর্থ হয়। অতিদ্রুত নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
ইবি সংসদের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি গুচ্ছভুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের সমস্যা দূর না হওয়ায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি প্রক্রিয়া গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসলমী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সমুন্নত রাখতে, সেশনজটমুক্ত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতকরণ ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে সঠিক সময়ে একাডেমিক সেশন শুরু করার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের পক্ষ থেকে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।
মানববন্ধন শেষে ছাত্র ইউনিয়নের স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ জানান, ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একসাথে থাকার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি দিয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে আলোচনা সভাও হয়েছে। এতে ভালো ও খারাপ দিক তুলে ধরা হয়। আপাতত তারা এবছরের মতো গুচ্ছে থাকার পক্ষে রয়েছেন। তবে আমার পক্ষ থেকে ছাত্র ইউনিয়নের স্মারকলিপির বিষয়ে গুচ্ছ কমিটিকে অবহিত করবো।