জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
সাবেক ভিসির বাসভবনে মিলল গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ওএমআর শিট
- নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২১ AM , আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৯ AM
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের ব্যক্তিগত শয়নকক্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার একাধিক ওএমআর শিটের সন্ধান মিলেছে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরুর আগেই সাবেক উপাচার্যকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এসব ওএমআর শিট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরুর আগে প্যাকেজিংয়ের সময় সাবেক উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখরের কাছে এবং ভিসি দপ্তরে ২০টিরও অধিক ওএমআর শিট দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট কমিটির একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের যাবতীয় সরঞ্জামাদি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় তার ব্যক্তিগত শয়নকক্ষে সন্ধান মেলে একাধিক ওএমআর শিট, শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগের নথিপত্র এবং প্রার্থীদের তালিকা।
গত ১৭ অক্টোবর ভিসি বাংলো থেকে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের যাবতীয় সরঞ্জামাদি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় তার ব্যক্তিগত শয়নকক্ষে সন্ধান মেলে একাধিক ওএমআর শিট, শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগের নথিপত্র এবং প্রার্থীদের তালিকা। এগুলো সংরক্ষণ করে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উপাচার্যের কাছে এ ওএমআর শিট পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ প্যাকেজিং কমিটির সদস্য সচিব মাসুদ রানার বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্যাকেজিং কমিটির একাধিক সদস্য জানান, কমিটির সদস্যরা শুধু রুমপ্রতি ওএমআর প্যাকেজিং করতেন। বাকি যাবতীয় হিসাব রাখতেন মাসুদ রানা।
তিনি একদিন এসে উপাচার্যের কথা বলে ওএমআর নিয়ে গেছেন। পরীক্ষার হল থেকে ফেরত আসা ওএমআরগুলো কোথায়, সেগুলোর তথ্যও কারো কাছে নেই বলে তারা জানিয়েছেন।
ভিসির বাসভবনে ওএমআর পাওয়ার বিষয়ে সদস্য সচিব মাসুদ রানা বলেন, ‘আমি এটি জানি না। আমাদের কাজ হলো ওএমআর নিয়ে রুমপ্রতি ভাগ করে দেয়া। যেসব ওএমআর অব্যবহৃত থাকে, সেগুলো একসাথে সেন্ট্রালে পাঠানো হয়। আমার কাছে এর কোনো হিসাব নেই।’
এদিকে ২০টি নয় বরং তিন থেকে চারটি ওএমআর কন্ট্রোল রুমে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোল্লা আমিনুল ইসলাম।
আরো পড়ুন: স্কুলে ভর্তিতে এবার বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পরিবর্তন
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে প্রশাসন অবগত রয়েছে। ভিসি বাংলো থেকে পাওয়া সাবেক উপাচার্যের অফিসিয়াল নথিপত্র সংরক্ষিত রাখা আছে। বিষয়টি প্রমাণসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের ঘটনা ন্যাক্কারজনক। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই বিষয়টি তদন্ত করে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।