ভারতে বিশ্বনবীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ PM , আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ PM
সম্প্রতি ভারতের শ্রীনগরে হিন্দু পুরোহিত কর্তৃক মহানবী (সা:)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি), রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) এর শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার, নবীর দুশমনের গালে গালে, ‘জুতা মারো তালে তালে’, ‘বিশ্বনবীর অপমান, ‘সইবে না রে মুসলমানসহ বিভিন্ন স্লোগানে ক্যাম্পাসের মূল সড়কে শিক্ষার্থীরা মিছিল করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আমাদের প্রাণের চেয়েও প্রিয়। ভারতের এক পুরোহিত আমাদের প্রিয় নবিকে নিয়ে কটূক্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছে এছাড়াও এক বিজেপি নেতা এর সমর্থন জানিয়ে উসকানি দিয়েছে যা বিশ্বের প্রতিটি মুসলিমের অন্তরে আঘাত করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। আমরা বিশ্বের সকল মুসলমানরা এর প্রতিবাদ করে যাবো।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মানুষের মাঝে হিংসা বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নিজ ধর্মের মানুষদের যেমন ব্যবহার করছে তেমনি ইসলাম বিদ্বেষ ছড়িয়ে আসছে। বিশ্বের যেখানেই রাসুলুল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-কে নিয়ে কোনো প্রকার কটূক্তি করা হবে পুরো মুসলীম উম্মাহ সেটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও জানিয়ে আসবে ইনশাআল্লাহ। মুসলিম উম্মাহার এই প্রতিবাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আমরা বুটেক্সের সাধারণ শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়েছি।
তারা বলেন, যারা ধর্মে আঘাত করেছে তারা উপমহাদেশের সম্প্রতি নষ্ট করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চায়। আমরা ভারতের সরকার অনুরোধ করবো দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বাংলাদেশের সরকারকে বলবো কুটনৈতিক ভাবে এর প্রতিবাদ জানান। এছাড়াও মানববন্ধনে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা না করলে সকল মুসলিমদের নিয়ে ভারতীয় পণ্য বয়কটের হুমকি দেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরাও অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবেদনে সাহায্য করছেন সিকৃবি, বেরোবি, হাবিপ্রবি, বুটেক্স, ইবি এর প্রতিবেদকগণ।