ববির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্বে কলা অনুষদের শিক্ষক

অধ্যাপক ড. মোঃ মুহসিন উদ্দীন
অধ্যাপক ড. মোঃ মুহসিন উদ্দীন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব নিয়েছেন আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মোঃ মুহসিন উদ্দীন। অধ্যাপক ড. মোঃ মুহসিন উদ্দীন কলা ও মানবিক অনুষদের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।

রবিবার (৮) সেপ্টেম্বর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রেজিস্ট্রার মোঃ মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে বিষয়টি জানা গেছে। বিষয়টি অসঙ্গতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের একাধিক শিক্ষক।

নোটিসে বলা হয়, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাওয়ায় প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মোঃ মুহসিন উদ্দীনের উপর ন্যস্ত করা থাকবে।নিয়মিত উপাচার্য কর্তৃক পূর্ণাঙ্গ ডিন নিয়োগের পূর্ব পর্যন্ত উক্ত অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনগণের সাথে অনুষ্ঠিত গত ৫ সেপ্টেম্বরে সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের এক শিক্ষক জানান, প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বের ক্ষমতা বলে যদি ডিনের দায়িত্ব উনার হাতে ন্যস্ত থাকে,তাহলে ডিনদের সভায় আলোচনা করে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের কোন শিক্ষককে দিতে পারতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনেও বলা আছে জ্যেষ্ঠতার উপর ভিত্তি করে নিয়োগ দেওয়ার কথা।যেহেতু তিনি নিয়োগ দিতে পারবেন না কিন্তু দায়িত্বের ব্যাপারেও তো তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তি করে একজন শিক্ষককে দায়িত্ব ন্যস্ত করতে পারতেন।তাছাড়া উনি তো পূর্নাঙ্গ উপাচার্য না,তাহলে কিভাবে অটোমেটিক উনার হাতে দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবে।আর আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পেয়ে ডিনদের সভায় কেন তিনি নিজেই ডিনের দায়িত্ব নিবেন। ডিন তো কোনো প্রশাসনিক দায়িত্ব নয় এটা একাডেমিক দায়িত্ব।

আইন অনুষদের ডিন সুপ্রভাত হালদার জানান, প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ডিন নিয়োগ দিতে পারেন না।তাই তিনি নিজেই দায়িত্ব নিয়েছেন।কলা অনুষদের শিক্ষক দায়িত্ব নিতে পারবেন কিনা প্রশ্ন করলে তিনি জানান, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উপাচার্যের অবর্তমানে প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয়টি দেখবেন একজন অধ্যাপক।জরুরি বিষয়গুলো ডিনদের সাথে আলোচনা করে দায়িত্ব দিতে পারেন। এজন্য ডিনদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কলা অনুষদের শিক্ষক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্বে থাকতে পারবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দীন জানান, ডিন, প্রক্টর,ট্রেজারার বা অন্য যেকোনো পদ শূন্য থাকলে উপাচার্যের উপর সেই দায়িত্ব ন্যাস্ত হয়।সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় সেই  দায়িত্ব উপাচার্যের উপর পরে। আমি যেহেতু দায়িত্বে আছি সেই হিসেবে ডিনের দায়িত্ব আমার উপর পরেছে। আর আমার হাতে ডিন নিয়োগের ক্ষমতাও নেই।


সর্বশেষ সংবাদ