উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের: উপাচার্য

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান  © ফাইল ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অধ্যয়ন করছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিনিয়ত তারা নিজেদের সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছে।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ‘মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমীক্ষা ও মতবিনিময়’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান।

পরে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

উপাচার্য বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করছে। তবে প্রতিবন্ধকতা যতই থাকুক না কেন প্রতিটি শিক্ষার্থীর মনে গভীর উৎসাহ থাকে, উদ্দীপনা থাকে, স্বপ্ন জয়ের আকাঙ্খা থাকে। কিন্তু কখনো সেই পথে সে বিমর্ষ হয়, বিষণ্ন হয়। কখনো সে মনে করে তার স্বপ্নের জায়গাটায় পৌঁছাতে না পারায় অনেকগুলো বাধা আছে। 

তিনি বলেন, শিক্ষক হিসেবে, অভিভাবক হিসেবে আমি মনে করি- এটি আমাদের পবিত্র দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেন এমন সময় না আসে সেজন্য তাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করা। এক্ষেত্রে কোন কোন জায়গায় আমাদের করণীয় আছে সেটি নির্ধারণ করা।

মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক আহমদ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মনোবিজ্ঞানী ড. তাবাস্সুম আমিনা।

এছাড়া অন্যদের মধ্যে ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী মারুফ হোসেন মিশুক, মো. আরিফুল ইসলাম আবির, নুসরাত জাহান, শামান্তা ইসলাম প্রমুখ। এতে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।   

অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা ভীষণ আত্মবিশ্বাসী এবং উদ্যোমী। এই আত্মবিশ্বাসের অনেক কারণ আছে। আমরা এই অঞ্চলের মানুষ আত্মনির্ভরশীল সেটি যেমন আছে। আমরা যেই স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রে বসবাস করি যেখানে আমাদের পূর্বপুরুষের আত্মত্যাগ রয়েছে। আমাদের ভালো থাকার জন্য তারা জীবন দিয়েছেন। সেজন্য আমাদের আত্মবিশ্বাসের এবং গৌরবের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ