রাবিপ্রবি’তে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত
- রাবিপ্রবি
- প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৩ PM , আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৩ PM
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে পালিত হয়। সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অস্থায়ীভাবে নির্মিত স্মৃতিসৌধ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের অমর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়।
পরবর্তীতে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মেয়েদের বল নিক্ষেপ খেলা, নতুন মাঠ উদ্বোধন এবং মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আয়োজিত প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের পুরস্কার বিতরণ করেন রাবিপ্রবি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দীপংকর তালুকদার একাডেমিক ভবনে আলোচনা সভা শুরু হয়।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব মোহাম্মদ ইউসুফ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড.নিখিল চাকমা, রাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি জনাব গৌরব চাকমা, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব নেইংম্রাচিং চৌধুরী ননী, রাবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সহকারি রেজিস্ট্রার (একাডেমিক) জনাব মাহবুব আরা এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিএসই বিভাগের সহকারি অধ্যাপক জনাব ধীমান শর্মা।
আলোচনা সভায় বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাঁদের এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাগনের অবদানের কথা স্মরণ করে আগামীর উন্নত, সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, “স্বাধীনতার এই কষ্টের কথা, দুঃখের কথা কখনো বলে শেষ করা যাবে না। বাঙালী এই বিশ্বে যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন এই কষ্ট করে ছিনিয়ে আনা স্বাধীনতার কথা স্মরণ করবে। সেজন্য আমি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে চাই। এই স্বাধীনতার জন্য তিনি তিনি নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছেন। তারপরেও তিনি মাথা নত করেননি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ এই সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, দেশের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আগামী ২০৪১ সালের ভিশন হলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার, স্মার্ট ও উন্নত প্রযুক্তিতে কাজে লাগিয়ে আমরা যাতে উন্নত দেশ সমূহের একই কাতারে যেতে পারি এবং বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়।