পরীক্ষার দাবিতে ইবির প্রধান ফটকে তালা, সভাপতির পদত্যাগ
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:২৩ PM , আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৬ PM
পরীক্ষা নেওয়াসহ ৫ দফা দাবিতে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ২টায় বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন।
এ ঘটনায় দ্বিতীয় শিফটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসগুলো আটকে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও বিভাগের শিক্ষকদের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে আজ ওই বিভাগের সভাপতি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের তৃতীয় তলায় বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বিভাগের সভাপতির কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, ২৮ নভেম্বরের মধ্যে নন ক্রেডিট পরীক্ষা নিতে হবে, এই মাসের মধ্যে চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু করতে হবে, শীতের ছুটির আগে ভাইবা শেষ করতে হবে, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে রেজাল্ট প্রকাশ করতে হবে এবং পরীক্ষার রেজাল্ট মার্কশিটসহ প্রকাশ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সম্মান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা গত ৩১ অক্টোবর হওয়ার কথা ছিল। পরে তারা জানতে পারে তাদের ৭ জন শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষে নন ক্রেডিট কোর্সে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। যাদের নন ক্রেডিট কোর্সের পরীক্ষা দ্বিতীয় বর্ষের মধ্যেই শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু অনুত্তীর্ণদের তালিকা বিভাগ এতদিন প্রকাশ করেনি। শিক্ষার্থীরা চতুর্থ বর্ষে এসে নম্বর পত্র উত্তোলন করে জানতে পারে তারা উত্তীর্ণ হয়নি।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, বিভাগের সভাপতির আবেদন প্রেক্ষিতে উপাচার্যের বিশেষ অনুমতি ছাড়া এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। এই সমস্যা নিয়ে দু’মাস ধরে বিভাগের শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে আসলেও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান পায়নি তারা। ফলে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন করেন তারা।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি কিছুদিন ছুটিতে ছিলাম। ছুটি শেষে এসে দেখি পরীক্ষা হয়নি। বিভাগে কিছু জটিলতা ছিল, আশাকরি দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে। পদত্যাগপত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। বিভাগের শিক্ষকরা আমাকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে বলেছে। আমি ভেবে দেখবো।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, যেহেতু এটা বিভাগের বিষয় এটার সমাধান বিভাগেই হবে। এ নিয়ে গেটে তালা দেওয়া অযৌক্তিক।