আমার মনে হয় ইবিতে পড়াই হবে না: ফুলপরী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৩, ০৮:৩০ PM , আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৩, ০৮:৩০ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। তবে এ সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন।
ফুলপরীর শঙ্কা বহিষ্কারের মেয়াদ শেষে অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে তার প্রতি প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠবে এবং তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন অনিরাপদ হয়ে যাবে। এমনকি তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ও ছাড়তে হতে পারে।
ফুলপরী বলেন, আমি এই বিচারে সন্তুষ্ট নই। আমার তো দাবি ছিল তাদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা। আমার সঙ্গে যে অন্যায়টা করেছে, তার শাস্তি এত কম পরিমাণ হতে পারে না। খুবই কম পরিমাণ শাস্তি হয়েছে।
আরো পড়ুন: ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনে অভিযুক্তরা বহিষ্কার
অভিযুক্তরা এখনও বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে দাবি করে ফুলপরী বলেন, তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেলেও এখনও অন্তরাসহ তার সহযোগীরা আমাকে নির্যাতনের কথা স্বীকারই করছে না। এখনও পর্যন্ত তারা বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার সম্পর্কে আজেবাজে কথা ছড়াচ্ছে, নানাভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছে।
ফুলপরী আরও বলেন, আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। এক বছরের বহিষ্কারাদেশ তো প্রায় শেষ হওয়ার পথে। ওরা যখন আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসবে, নিশ্চয়ই আমার ক্ষতি করতে চাইবে। আমার মনেহয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই হবেনা।
এর আগে, ফুলপরীকে নির্যাতনে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ কোনো কিছুতেই অংশ নিতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে এটা সর্বোচ্চ শাস্তি বলে জানিয়েছেন প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও একই বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। এর মধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। অন্যরা ছাত্রলীগের কর্মী। নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।