ছাত্রীদের অবস্থানের নিউজ করায় সাংবাদিককে টিটি কলেজ ছাত্রলীগের মারধর
- ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৩, ০৮:৩০ AM , আপডেট: ১৬ জুন ২০২৩, ০৯:২৪ AM
ক্যাম্পাসের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে এমন অভিযোগে রাজধানীর সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে এক সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. মফিজুল ইসলাম সুজন। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আর ভুক্তভোগী ঐ সাংবাদিকের নাম নয়ন মোড়ল। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিককে মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের হাতে এসেছে। এতে দেখা গেছে, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম সুজনসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী সাংবাদিক নয়ন মোড়লকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি এবং মারধর করছেন। সেসময় কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সুজনসহ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে শরীফ, ফরিদ মিয়া, সানাউল আলম হীরা, তাওফিকুল ইসলাম, সানি, মুন্নাও অংশ নেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক নয়ন মোড়ল বলেন, আমি পরীক্ষা শেষ করে যখন হল কক্ষ থেকে বের হয়েছি তখন কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মী এসে বলেন, সুজন ভাই তোকে ডেকেছে৷ পরে ছাত্রলীগ নেতা সুজনসহ উপস্থিত সবাই আমাকে বলে গতকালের ঘটনায় তুই কেন নিউজ করছিস? আমি বলি, আমি তো কোন নিউজ করি নাই৷ পরে সুজন বলে, তোর কারণে ক্যাম্পাসের মান ইজ্জত নষ্ট হইছে৷ এই বলে তারা আমাকে গালাগাল ও মারধর করতে থাকে৷ পরে আমার বন্ধুরা আমাকে তাদের হাত থেকে বাঁচায়৷
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মফিজুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, মারধর করি নাই ৷ এমন কিছু ঘটে নাই।
এ বিষয়ে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাসিবুর রহমান বলেন, আমি ঘটনার বিস্তারিত জানি না। প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে আসছি বিস্তারিত কথা বলার জন্য৷ অভিযোগের সত্যতা পেলে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে ঘটনা বিশ্লেষণ করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পির। তিনি বলেন, ঐ সাংবাদিক নিজেই আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি তার সাথে কথা বলেছি৷ ঘটনার কিছু তথ্য -উপাত্ত আমি তার কাছ থেকে নিয়েছি। এসব বিশ্লেষণ করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দ্রুতই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক গোলাম ফারুককে একাধিকবার কল দিলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, গতকাল (১৪ জুন) রাতে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছাত্রীদের হলের গেট রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখার দাবিতে অধ্যক্ষের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।