ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনে অভিযুক্তদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঈদের পর

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় সরাসরি আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা। সোমবার (১২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ভিসির কার্যালয়ে হওয়া ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে নিজেদের বক্তব্য দেন তারা। দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের এ ঘটনায় ঈদুল আজহার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে লিখিত জবাবের পর মৌখিকভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয় কর্তৃপক্ষ। তিন অভিযুক্ত লিখিত জবাবকেই চূড়ান্ত বলেছে। তবে মোয়াবিয়া জাহান ও হালিমা খাতুন উর্মি সোমবার আবার নতুন কিছু তথ্য যুক্ত করেন। এদিন ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুনেরও সাক্ষাৎকার নিয়েছে শৃঙ্খলা কমিটি।

আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য দিতে আসার সময়ে সড়কে নিরাপত্তা চাইলেও প্রশাসন দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। তবে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। প্রস্তুতি থাকলেও তারা নিরাপত্তা নেয়নি।

আরো পড়ুন: ইন্টারভিউ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে হত্যা

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে শেষবারের মতো তাদের ডেকেছি। মোয়াবিয়া ও হালিমা নতুন বক্তব্য সংযোজন করেছেন। বাকিরা বলেছেন, তাদের লিখিত বক্তব্যই চূড়ান্ত। মৌখিকভাবে কিছু কথা বলেছে। উচ্চ আদালত ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন। ঈদুল আজহার পর বৈঠক করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

উল্লেখ্য, ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে। শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীরা এতে জড়িত ছিল বলে অভিযোগে জানা যায়।

ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। হল ও ছাত্রলীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের।


সর্বশেষ সংবাদ