একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে সাড়া নেই ৫১ বিশ্ববিদ্যালয়ের

ভর্তি পরীক্ষা
ভর্তি পরীক্ষা  © ফাইল ছবি

আগামী শিক্ষাবর্ষে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে (ইউজিসি) দায়িত্ব দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে গত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝিতে মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছিল। এর আগে এপ্রিলের শুরুতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে এক বৈঠকে বসে ইউজিসি। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মিলে যাতে একটি ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যায়, সেজন্য এবছর থেকেই সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
 
এ লক্ষ্যে গত ৩০ এপ্রিল ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামত চেয়ে চিঠি দিয়েছিল ইউজিসি। চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ৩০ দিনের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির বিষয়ে তাদের মতামত কমিশনকে প্রেরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এসময়ের মধ্যে মাত্র ২টি বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে কমিশনকে তাদের মতামত জানিয়েছেন। 

ইউজিসি সূত্র জানা যায়, আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুর পর্যন্ত মতামত জানানো বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়।

কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৫৩ বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি প্রদান করা হলেও যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে তাদের মতামত অধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৫১ বিশ্ববিদ্যালয়ই তাদের মতামত জানায়নি। এমন পরিস্থিতিতে তাদের আবার চিঠি দেয়া হতে পারে।

এ  বিষয়ে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, এখন পর্যন্ত দুটো বিশ্ববিদ্যালয় তাদের মতামত জানিয়েছে। অবশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মতামতের জন্য আবারও চিঠি দেয়া হবে।

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সাবেক রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদের নির্দেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে ইউজিসিকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। 

এর আগে ৩ এপ্রিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সাথে শিক্ষামন্ত্রী এবং ইউজিসির এক সভায় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) মাধ্যমে এ ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

এনটিএর বিষয়ে ড. ফেরদৌস জামান বলেন, বর্তমানে পাবলিক পরীক্ষাগুলো যেমন বিভিন্ন বোর্ডের অধীনে নেওয়া হয় এটিও তেমন একটি সংস্থা হবে। দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়টি এনটিএর মাধ্যমে হবে। প্রথম পর্যায়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আওতাভুক্ত করা হবে এবং পরবর্তীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও এর আওতায় আনা হবে। জাতীয় সংসদে এর জন্য একটি আলাদা নীতিমালা পাস হবে এবং সেই অনুযায়ী এটি কাজ করবে।


সর্বশেষ সংবাদ