চাঁদপুর পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ
শুধু প্রযুক্তি-পরিবেশ নয়, ফলেও ধারাবাহিক সাফল্য
- ইমরান মাহমুদ, চাঁদপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ মে ২০২৩, ০৮:৫৪ AM , আপডেট: ২০ মে ২০২৩, ০৯:৩৮ AM
চাঁদপুর জেলা শহরের ডাকাতিয়া নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ। একসময়ে টিনের ঘর আর অবহেলা-অনাদরে স্মৃতির আড়ালে চলে গিয়েছিল কলেজটি। পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক না হওয়ায় অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের আগ্রহে ছিল না কলেজটি।
এসব পুরোনো স্মৃতি। এখন কলেজটি সাফল্য আর সম্ভাবনায় সবার মুখে মুখে। “স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ক্যাম্পাস” প্রতিযোগিতায় নানান ধাপ পেরিয়ে এবার বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কলেজটি। এতেই সবার মুখে মুখে জায়গা করে নিয়েছে কলেজটি।
প্রজেক্টের বিষয় ছিল একটি স্মার্ট ক্যাম্পাস কীভাবে কাজ করে। রোবটিক্স এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে কলেজের শিক্ষার্থীরা দেখিয়েছে কীভাবে একটি স্মার্ট ক্যাম্পাস হতে পারে। সরকারের ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্পের অংশ এটি। চট্টগ্রাম বিভাগের সব কলেজকে পেছনে পেলে সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করে কলেজটি।
শুধু প্রযুক্তি নয়, কলেজ ক্যাম্পাসকে নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে। সবুজের সমারোহ আর সুউচ্চ ভবন যেন একে অপরের পরিপূরক হয়ে মিলেমিশে একাকার। শিক্ষার্থীদের মনোরম পরিবেশ দিতে সাজানো হয়েছে সবুজ গাছপালা আর নানান জাতের ফুলের গাছে। যার স্বীকৃতিও পেয়েছে কলেজটি।
সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ ক্যাম্পাসের গৌরব অর্জন করেছে কলেজটি। জাতীয় পর্যায়ে নায়েম থেকেও প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদের পাঠানো হয় কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শনে।
প্রযুক্তি আর কলেজের পরিবেশ শুধু নয়, ফলাফলেও ক্রমে সাফল্য দেখা দিচ্ছে। ২০১৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে ৭২.৬৪ শতাংশ পাশ করেছিল। ২০১৮ সালে একটু কমে সেটা হয়েছিল ৭০.৪১. এরপরই ছুটছে ক্রমে উপরের দিকে। ২০১৯ সালে ৮৪.৬৭, ২০২০-এ ১০০% এবং ২০২১ সালে সেটা হয়েছে ৯৯.১৫।
এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন কলেজ অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। দিনের অনেকটা সময় তিনি কলেজেই সময় দেন। সবুজ ক্যাম্পাস, প্রযুক্তি আর ফলাফলে সবদিকেই তীক্ষ্ণ নজর। তার নেতৃত্বেই কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরও যেন পণ করেছেন দেশ সেরা হওয়ার।
তবে অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার কৃতিত্ব নিজে নিতে চান না। তিনি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ডা. জাওয়াদুর রহীম ওয়াদুদ টিপু এবং কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দিয়েছেন এর কৃতিত্ব। সেই সাথে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতাকে স্মরণ করেছেন কৃতজ্ঞতার সাথে।