এনএসটি ফেলোশিপ পাচ্ছেন বেরোবির ৪০ শিক্ষার্থী  

ফেলোশিপ পাচ্ছেন বেরোবির ৪০ শিক্ষার্থী  
ফেলোশিপ পাচ্ছেন বেরোবির ৪০ শিক্ষার্থী    © ফাইল ছবি

উচ্চশিক্ষায় গবেষণা সহযোগিতা প্রকল্প ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’ (এনএসটি) পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ শিক্ষার্থী। প্রত্যেক শিক্ষার্থী গবেষণার জন্য পাবেন ৫৪ হাজার টাকা।

সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খান রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

২০২২-২৩ অর্থবছরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি বিভাগ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী ফেলোশিপ পাচ্ছেন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ ১৩ জন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৭ জন, পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে ৬ জন, রসায়ন বিভাগ থেকে ৫ জন, গণিত বিভাগ থেকে ৪ জন, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪ জন এবং ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ১ জন শিক্ষার্থী এনএসটি ফেলোসিপের জন্য মনোনীত হয়েছেন। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আবু রেজা তৌফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এটি একটি ইতিবাচক দিক যে এক সঙ্গে অনেক সংখ্যক শিক্ষার্থী গবেষণার জন্য ফেলোশিপ পাচ্ছেন। আমি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকেই বলবো, গবেষণা যেন কোয়ালিটি সম্পন্ন হয়। যা থেকে দেশ ও জাতি উপকৃত হতে পারে।

আরও পড়ুন: একজনও বিদেশি শিক্ষার্থী পায়নি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ফেলোশিপের জন্য মনোনীত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মোছাঃ সুমাইয়া খাতুন সুমি বলেন, খুব ভালো লাগছে যে ফেলোশিপের জন্য মনোনীত হয়েছি। গবেষণার জন্য তো অর্থেরও প্রয়োজন হয়। ফেলোশিপ পেয়ে অনেকটা আর্থিক সমর্থন পেলাম। তাই আগামীতে  সর্বোচ্চ চেষ্টা দিবে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো ।

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মিফতাহুজ্জান্নাত আমরিন জানান, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ মাস্টার্স থিসিস/প্রজেক্ট(গবেষণা) শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের একটি অনুদান যা সত্যিই প্রশংসনীয়। ২০২২ এর আগস্ট মাসে এনএসটি ফেলোশিপ এর জন্য আবেদন করি, নভেম্বর মাসে ভাইভা দেই এবং অবশেষে আল্লাহ রহমতে ফেলোশিপ টির জন্য সিলেক্টেড হলাম।

ভালোলাগার বিষয় হলো, ফেলোশিপ টি আমার মাস্টার্স থিসিসের কাজকে উৎসাহের সাথে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে। আমি কাজ করছি বাংলাদেশের চলমান জনস্বাস্থ্য সমস্যা ডেঙ্গু নিয়ে। প্রত্যাশা করছি, আমার থিসিস এর কাজটি  ভালো সায়েন্টিফিক জার্নালে গবেষণাপত্র হিসেবে প্রকাশ করতে পারব।

উল্লেখ্য, ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর থেকে গবেষণা কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নিতে ভৌত বিজ্ঞান, জীব ও চিকিৎসাবিজ্ঞান, খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান এই তিনটি ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। তিন ক্যাটাগরির নির্ধারিত কমিটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ও গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি, পোস্ট-ডক্টরাল শিক্ষার্থী ও গবেষকদের আবেদন গ্রহণ, যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই ফেলোশিপ প্রদান করে থাকে। 


সর্বশেষ সংবাদ