‘বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাসূলের আদর্শের বিকল্প নেই’

‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (স.) এর অবদান' শীর্ষক সেমিনার
‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (স.) এর অবদান' শীর্ষক সেমিনার  © টিডিসি ফটো

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা:) ১৪৪৪ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ায় ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (স.) এর অবদান' শীর্ষক সেমিনার, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ অক্টোবর) মাদ্রাসার অডিটোরিয়ামে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আবদুর রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) মোঃ হাবিবুর রহমান। সেমিনারে ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী (স.) এর অবদান' বিষয়ের উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার সহকারী অধ্যাপক ও আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মাদ মাসুম বিল্লাহ।

আরও পড়ুন: গবেষণা মেলায় আরবি হরফে কঙ্কাল নিয়ে যা জানা গেলো

প্রবন্ধ উপস্থাপনে ড. মোহাম্মাদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাসূলের (স.) কালজয়ী আদর্শের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান বিশ্বেও অশান্তি, অস্থিরতা, জুলুম, নির্যাতন, খুন, রাহাজানি, নারী নির্যাতন এবং অসহায় ও অধিকার বা মানুষের হাহাকার সর্বত্র বিরাজমান। মানুষের নানামুখী প্রচেষ্টা স্বত্বেও অশান্তি ও অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। মানুষের জান-মাল ও ইজ্জত-আবরু অনিরাপদ হয়ে উঠছে। এমন অবস্থায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে মহানবী (সা:) এর আদর্শের বিকল্প নেই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত মহানবী (সা:) টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তা আজ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বজন স্বীকৃত, সর্ব মহলে প্রশংসিত। আজকের সংঘাতময় পৃথিবীতে, অশান্ত রাষ্ট্রে, নৈরাজ্যকর সমাজে, সংঘাতময় পরিবারে এবং মানুষের নিরাপত্তাহীন ব্যক্তিগত জীবনে শান্তি ও মুক্তির বিপ্লব ঘটাতে হলে নবীজীর উপস্থাপিত নীতিমালার অনুসরণ অপরিহার্য।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর আদর্শই মানবতার মুক্তির একমাত্র পথ উল্লেখ করে প্রধান অতিথি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ কামাল হোসেন বলেন, মহানবী (সা:) এর আদর্শ এবং জীবনের নানাবিধ কর্মকাণ্ডের ব্যাপক বিচার-বিশ্লেষণ করে তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সুন্দরতম চরিত্র, অনুপম আদর্শ, নির্ভীকতা ও সহনশীলতার মাধুর্য দেখে অবাক হয়েছেন। তাঁর সততা, কতর্ব্যপরায়ণতা, ন্যায়নীতি, ক্ষমা, দয়া এবং নিষ্ঠা দেখে তাঁরা অভিভূত হয়ে পড়েন। কেননা মানবিক শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ যেন কোন ক্ষতিকর কাজে জড়িয়ে না যায় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে রাসুল  (সা:) নির্দেশ দিয়েছেন। তাই তাঁর আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে বিশেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে।

সেমিনার শেষে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্রদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে বই ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ