ইবি উপাচার্যের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের

ইবি উপাচার্যের একান্ত সচিবের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর
ইবি উপাচার্যের একান্ত সচিবের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্যের একান্ত সচিবের অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় রাসেল জোয়ার্দ্দারসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান বাদী হয়ে দন্ড বিধি ১৮৬০ এর ১৪৩, ৪৪৭, ৩৪২, ১৮৬, ৪২৭ এবং ৫০৬ ধারায় ইবি থানায় মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম এবং ট্রেজারার অফিসের উপ-হিসাব পরিচালক জাহিদুল ইসলাম (পিএস-২)। উক্ত কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কৃষি গুচ্ছে ফল চ্যালেঞ্জের আবেদন করেছেন চার শতাধিক

এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননূর জায়েদ বিপ্লব বলেন, মামলা দায়েরের পর ঘটনাটির তদন্তের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে । 

প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা চিঠি পেয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার সূত্রে জানা যায়, হামলার ঘটনায় গত রবিবার ভূক্তভোগী উপাচার্যের একান্ত সচিব আইয়ূব আলী (পিএস-১) ও মনিরুজ্জামান মোল্লা (পিএস-২) রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বাদী হয়ে মামলা করেন রেজিস্ট্রার। লিখিত অভিযোগ সূত্রে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় অভিযোগকারী দুইজন দাপ্তরিক কাজ করার সময় হামলার শিকার হন। অস্থায়ী চাকরিজীবি পরিষদের সভাপতি টিটো মিজান, সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন বহিরাগত এ হামলা করেন। একইসঙ্গে আইয়ূবের কক্ষ ভাঙচুর, গুরুত্বপূর্ণ নথি তছনছ, শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন। দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্তরা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। তারই জের ধরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা।

হামলার পরের দুইদিন উপাচার্যের একান্ত সচিবের বিরুদ্ধে বিএনপি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করে তার পদত্যাগ দাবি করেন তারা। এরপর বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো নিয়োগ বোর্ড হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন। হামলাকারীরা নিজেদেরকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মী হিসেবে দাবি করেন। হামলার পরের দুইদিন তাদেরকে ক্যাম্পাসে শোডাউন দিতে দেখা যায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ভাঙচুর হওয়া কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়নি। ক্যামেরা সচল থাকলেও হার্ডডিস্ক অচল ছিল। এ ছাড়া উপাচার্যের কক্ষেও ক্যামেরা চালু থাকলেও গত ৬ এপ্রিলের পর থেকে কোনো ভিডিও ফুটেজ রেকর্ড হয়নি। সিসিটিভি ক্যামরা আইসিটি সেল দেখভাল করে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক আহসান উল আম্বিয়া বলেন, আইসিটি সেলের আশেপাশের কিছু ক্যামেরা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনের ক্যামেরাগুলো স্ব-স্ব অফিস নিয়ন্ত্রণ করে। সমস্যা হলে আমাদেরকে জানালে ঠিক করে দিয়ে আসি।


সর্বশেষ সংবাদ