৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন গেজেট প্রকাশের দাবি ৪৩তম বিসিএস বঞ্চিতদের
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩১ PM , আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫০ PM
অবিলম্বে ৫ জানুয়ারির মধ্যে ৪৩তম বিসিএসের ২য় গেজেট থেকে বাদ পড়া ক্যাডার অফিসারদের নাম গেজেটভুক্ত করে ১৫ জানুয়ারিতে সব ক্যাডারদের সাথে যোগদান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বঞ্চিতদের একাংশ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির মূল ফটকের সামনে ‘৪৩তম বিসিএসের গেজেট বঞ্চিত ক্যাডার অফিসারবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বঞ্চিত ক্যাডারদের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৪৩ বিসিএসের প্রথম গেজেটে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত মাসুমা আক্তার।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ ৪ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অপেক্ষার শেষে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার প্রতিটি ধাপ সততা ও সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়ে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন কর্তৃক ২১৬৩ জন ২৬টি ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হই। পরবর্তীতে সুপারিশপ্রাপ্তদের কয়েক মাসের তদন্ত সাপেক্ষে দীর্ঘ ১০মাস পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর আমাদের অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। উক্ত জেটে যোগদানের তারিখ ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ২৮ অক্টোবর আমাদের যোগদান পিছিয়ে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মাসুমা বলেন, আমরা ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি যোগদানের নির্দেশনা মোতাবেক উদ্দীপনা ও আনন্দের সাথে যোগদানের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করি এবং আমাদের বহু সহকর্মী পূর্ববর্তী চাকুরি থেকে অব্যাহতি নেন। এমনকি সুপারিশপ্রাপ্তির পরবর্তী সময়ে আমাদের অনেকেই সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির একাধিক চাকুরির সুযোগ লাভ করলেও যোগদান করেননি। এছাড়াও গত ২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ৪৪ তম বিসিএস এর মৌখিত পরীক্ষায়ও অনেকেই অংশগ্রহণ করেননি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, আমরা প্রণয় গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হলেও গত ৩০ ডিসেম্বর ২য় বার প্রকাশিত গেজেটে ১০০ জনসহ সর্বমোট ২২২ জন প্রার্থী গেজেট থেকে বঞ্চিত হই। এমতাবস্থায়, অধিকাংশ প্রার্থী চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে যাওয়ায় আমাদের এই ২২২ জন প্রার্থী এবং তাদের উপর নির্ভরশীল পরিবার সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন, চরম হতাশাগ্রস্ত এবং দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের পথ গড়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্য তা পূরণে মেধা ও যোগ্যতা ভিত্তিক সিভিল সার্ভিসের বিকল্প নেই। কিন্তু আমরা সুপারিশপ্রাপ্ত এবং গেজেট প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও পুনঃপ্রকাশিত গেজেটে অজ্ঞাত কারণে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটের পরিপন্থি। যা একই সাথে আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বেদনাদায়ক।